বিজেপি করায় তৃণমূলি হামলার মুখে পরিবার, থানায় গেলে দল ছাড়ার ফতোয়া আধিকারিকদের
বিজেপির কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ায় দুর্গাপুরে তৃণমূলের হামলার মুখে একটি পরিবার। বারবার তৃণমূলের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হওয়ায় বাড়ির সামনেই মা-মেয়কে অকথ্য গালিগালাচের অভিযোগ শাসকদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ব্যবস্থা গ্রহণও দূরে থাক, উলটে থানায় গেলে বিজেপি না করার নিদান দেন আধিকারিকরা। ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। বন্ধ নাওয়া খাওয়া।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপির কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ায় দুর্গাপুরে তৃণমূলের হামলার মুখে একটি পরিবার। বারবার তৃণমূলের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হওয়ায় বাড়ির সামনেই মা-মেয়কে অকথ্য গালিগালাচের অভিযোগ শাসকদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ব্যবস্থা গ্রহণও দূরে থাক, উলটে থানায় গেলে বিজেপি না করার নিদান দেন আধিকারিকরা। ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। বন্ধ নাওয়া খাওয়া।
দুর্গাপুর থানা এলাকার পারুলিয়ার বাসিন্দা কাজল গোস্বামী ও তাঁর স্ত্রী অনিমাদেবী সক্রিয় বিজেপিকর্মী। বিজেপি মহিলা মোর্চার আঞ্চল সম্পাদিকা অনিমাদেবী। গত ২৪ জুন আসানসোলে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন গোস্বামী দম্পতি। এতেই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের রোষানলে পড়েন তাঁরা। স্থানীয় তৃণমূল কার্যালয়ে তলব করা হয় তাঁদের। যেতে অস্বীকার করেন ওই দম্পতি। এর পরই শুরু হয় তৃণমূলি নির্যাতন। বাড়ি এসে অকথ্য গালিগালাজ করা হয় অনিমাদেবী ও তাঁর মেয়েকে।
উত্তরে প্রবল দুর্যোগের পূর্বাভাস, দক্ষিণে ফের ভ্যাপসা গরমের ভ্রূকুটি
অভিযোগ, গত ২৬ জুন গোস্বামী পরিবারের বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূলি গুন্ডারা। ৩০ জন দুষ্কৃতি মিলে চলে লাগাতার চলে ইটবৃষ্টি। এমনকী বাড়ির সামনে জলের কলটিও উপড়ে ফলে দুবৃত্তরা। অভিযোগ জানাতে গেলে প্রথমে থানার আধিকারিকরা তাঁদের ফিরিয়ে দেন বলে অভিযোগ গোস্বামী দম্পতির। পরে মহকুমাশাসকের হস্তক্ষেপে অভিযোগ জানালেও থানায় আধিকারিকদের তরফে বিজেপি না-করার ফতোয়া জারি করা হয় বলে অভিযোগ। মনোজ চন্দ ও অনন্ত রুইদাস-সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূলি দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা।
ঘটনার পর থেকে নাওয়া-খাওয়া মাথায় উঠেছে ওই পরিবারের। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, মেয়েদের স্কুল, টিউশন সব বন্ধ। আপাতত গৃহবন্দি তাঁরা। এমনকী পারুলিয়া ছাড়ার ব্যাপারেও ভাবতে শুরু করেছেন তাঁরা।
ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায় ঘটনায় সেই পারিবারিক বিবাদের তত্ত্ব খাড়া করেছেন। তাঁর দাবি, তৃণমূল এতে জড়িত নয়।