সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ! দলীয় কর্মীর স্ত্রীকে `ধর্ষণের চেষ্টা` বিজেপি যুব মোর্চা নেতার
`নিজের তিনটি ফেসবুক প্রোফাইল ও তিনটি ফেক ফেসবুক প্রোফাইল তৈরি করে দলের বিভিন্ন পদাধিকারিকদের বিরুদ্ধে অশালীন পোস্ট করেন। এমনকি সাংসদের বিরুদ্ধেও একইভাবে পোস্ট করেছেন তিনি। ওনাকে একাধিকবার এই বিষয়ে সতর্ক করা হলেও তিনি শোনেননি।`
পার্থ চৌধুরী: পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখানো ও বিজেপি কর্মী, তাঁর শ্বশুর ও স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে। এমনকি বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি পিন্টু ওরফে পূরব সাম ও জেলা যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক দেবজ্যোতি সিংহ রায়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী বিজেপি কর্মীর নাম কেশব কোনার।
অভিযোগ গত রবিবার পূরব সাম ও দেবজ্যোতি সিংহ রায় সহ পাঁচজন রাত ৮টা নাগাদ কেশব কোনারের বাড়িতে আচমকাই হাজির হন। কেশববাবু দরজা খুলতেই তাঁরা আগ্নেয়াস্ত্র, রড ও লাঠি নিয়ে তাঁকে মারধর শুরু করেন। তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরমশাই আটকাতে গেলে, তাঁদের উপরেও আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন কেশব কোনার । পরে বাড়ির অন্য এক সদস্য এলে আক্রমণকারীরা পালিয়ে যায়। কেশববাবু জানাচ্ছেন, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন প্রতিবাদী লেখা লেখেন। নিজে অসুস্থ, তাই শারীরিকভাবে দলে সময় না দিতে পারলেও দলের আদর্শ যাতে বজায় থাকে সেকারণে বিভিন্ন সময়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সোচ্চার হন।
সোমবার রাতের গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে শক্তিগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কেশব কোনার। এই বিষয়ে পূরব সাম ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দেবজ্যোতি সিংহরায়। দেবজ্যোতির পালটা দাবি, 'কেশব কোনার তাঁর নিজের তিনটি ফেসবুক প্রোফাইল ও তিনটি ফেক ফেসবুক প্রোফাইল তৈরি করে দলের বিভিন্ন পদাধিকারিকদের বিরুদ্ধে অশালীন পোস্ট করেন। এমনকি সাংসদের বিরুদ্ধেও একইভাবে পোস্ট করেছেন তিনি। ওনাকে একাধিকবার এই বিষয়ে সতর্ক করা হলেও তিনি শোনেননি। আমরা কয়েকজন তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলাম বলার জন্য। বাড়িতে যাওয়া মাত্র উনি ওনার চিকিৎসার জন্য মাসে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। আমরা তা দিতে অস্বীকার করায় উনি বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শুরু করে দেন। এই ঘটনায় আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।'
এই ঘটনায় জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান, এটাই বিজেপির কালচার। এরা আবার বাংলার মানুষকে সুরক্ষা দেবে! যারা এই ধরনের কাজ করে তারা সমাজবিরোধী। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। অন্যদিকে,
এই বিষয়ে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, বিজেপি গোটা বিশ্বের মধ্যে সব থেকে বড় রাজনৈতিক দল। একটি রেজিমেন্ট দল। কেউ অন্যায় করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। অন্যায় করলে দল তার পাশে থাকবে না।
আরও পড়ুন, গাড়িতে ধাক্কা মারার প্রতিবাদ, দীঘার পথে চিকিৎসককেই পিষে দিল লরি!