নিজস্ব প্রতিবেদন : নিহত বিজেপি নেতার দেহ হালিশহরের বাড়ি পৌঁছতেই উঠল কান্নার রোল। কান্নায় ভেঙে পড়লেন নিহত বিজেপি বুথ সভাপতির পরিবারের লোকেরা। নিহত সৈকত ভাওয়ালের দেহ আঁকড়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন বিজেপি নেতার স্ত্রী, মা। এদিন সকাল থেকেই গোটা এলাকা ছিল থমথমে। বিকেল ৪টের কিছু পর দেহ বাড়ি পৌঁছতেই শোকের বাঁধ ভাঙল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দেহ পৌঁছনোর কিছু আগেই নিহত বিজেপি নেতার বাড়ি এসে উপস্থিত হন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর উপস্থিতিতেই দেহ পৌঁছয় বাড়িতে। দেহ পৌঁছতেই নিহত নেতার নামে ওঠে স্লোগান। ইতিমধ্যেই খুনের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতদের এদিন ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এপ্রসঙ্গে অর্জুন সিংয়ের অভিযোগ, পুলিস ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে চায়নি। পুলিস শাসকদলের হয়ে কাজ করছে।


প্রসঙ্গত,  শনিবার রাতে বিজেপি গৃহ সম্পর্ক অভিযান চলাকালীন দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন সৈকত ভাওয়াল। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা বাঁশের মাথায় পেরেক লাগিয়ে এনেছিল। সঙ্গে ছিল হকি স্টিক ও লোহার রড। প্রায় ৬ টি বাইকে করে এসেছিল ১০ থেকে ১২ জন দুষ্কৃতী। পিটিয়ে খুন করে বুথ সভাপতি সৈকত ভাওয়ালকে। কাজ হাসিল করেই বাইকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীদল। খুনের ঘটনায় রবিবার সকালে সোমনাথ গাঙ্গুলি, অভিজিত্ দাস ও বাবাই নামে ৩ জনকে গ্রেফতার করে বীজপুর থানার পুলিস।


খুনের ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব।  বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "ভুল পথে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করছে। বাংলার মানুষ বেশিদিন এসব বরদাস্ত করবে না।" বিজেপি নেতা শুভ্রাংশু রায় হুঁশিয়ারি দেন, "'ঘটনার বদলা হবে।" সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় টুইট করেন, "পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র মৃত।" কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, "মমতা ব্যানার্জির সরকার আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করছে।" 


অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এদিন বলেন, "আমরা যতদূর শুনেছি, এটা নন পলিটিক্যাল কোনও একটা গন্ডগোলের কারণে হয়েছে। পুলিস তদন্ত করছে। তদন্ত করে দেখুক কী হয়।" আরও বলেন, 'বিজেপি খুনোখুনির রাজনীতি করে, হিংসা ছড়ায়। তৃণমূল কংগ্রেস হিংসা, গোলমাল কখনও সমর্থন করে না।'


আরও পড়ুন, শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ কণিষ্ক পণ্ডাকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল


'ব‌ই লেখার কাজ দ্রুত শেষ করতে চাই', চিকিৎসকদের বারবার বলছেন বুদ্ধবাবু