শহরের বেশিরভাগ ওয়ার্ডে TMC হারতেই শুরু হকার উচ্ছেদ! সরগরম বোলপুর
ফুটপাত ব্যবসায়ী সেখ মোজাম্মেল হক বলেন, বোলপুর পৌরসভার তরফ থেকে আমাদের মৌখিক নোটিস দিয়েছিল। কিন্ত লিখিত কোনো নোটিস দেওয়া হয়নি
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা মোকাবিলায় বোলপুরে চলছে আংশিক লকডাউন। ফলে ব্যবসার বাজার মন্দা। পাশাপাশি কাল ইদ। বাজার একটু চাঙ্গা হওয়ার আগেই জোর ধাক্কা বোলপুর ফুটপাত ব্যবসায়ী মহলে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বোলপুরে শুরু হয়েছে হকার উচ্ছেদ অভিযান।
সকাল থেকেই বোলপুরের শ্রীনিকেতন রোড, প্রভাত সরণী থেকে হকারদের উচ্ছেদ শুরু করে বোলপুর পুরসভা। এনিয়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে হকার মহলে। পাশাপাশি শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির দাবি, বোলপুরের ৬টি ওয়ার্ড ছাড়া সব ওয়ার্ডে হেরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এই হকার উচ্ছেদ অভিযান।
আরও পড়ুন-সাফল্যের দোরগোড়ায় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প, এখন বোরিং মেশিন বেরিয়ে আসার অপেক্ষা
বোলপুরের তৃণমূল নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, এই মুহূর্তে বোলপুর থেকে হকার উচ্ছেদ করা ঠিক হয়নি। যে হকারদের জন্য শহরে যানজট হয় সেই হকাররা বোলপুরেই বাসিন্দা। শুক্রবার ইদ। তার আগে এভাবে হকারদের উচ্ছেদ করা দেওয়া হল। এটা খুবই মার্মান্তিক। বোলপুরের পুরসভা এলাকায় তৃণমূল ভালো ফল করতে পারেনি। তাই শহরের গরিব ব্যবায়ীদের জব্দ করতেই এই কাজ করেছে বোলপুর পুরসভা।
অন্যদিকে, এনিয়ে বোলপুর(Bolpur) পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য ওমর সেখ বলেন, হকারদের জন্য অন্য জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে ওরা যাচ্ছে না। এর আগে ওদের সরে যেতে বলা হয়েছিল। না সরতেই এই অভিযান।
আরও পড়ুন-বন্ধ ঘরে পড়ে ছেলের মৃতদেহ; পাশে শুয়ে প্রতিবন্ধী বৃদ্ধা, ঠাকুরপুকুরে চাঞ্চল্য
বোলপুর শহরের ফুটপাত ব্যবসায়ী সেখ মোজাম্মেল হক বলেন, বোলপুর পৌরসভার তরফ থেকে আমাদের মৌখিক নোটিস দিয়েছিল। কিন্ত লিখিত কোনো নোটিস দেওয়া হয়নি। আজ হঠাৎ দোকান ভেঙে ফেলা হল। রাত পোহালেই ইদ। একটু সময় দিলে খুবই উপকৃত হতাম। প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। কীভাবে ইদ পালন করব খুঁজে পাচ্ছি না। মমতা দিদি আমাদের জন্য কিছু ব্যবস্থা করে দিক।