নিজস্ব প্রতিবেদন: বনগাঁ পুরসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ফের ভোটাভুটির রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যাবে তৃণমূল। সোমবার একথা জানিয়ে দিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



তাঁর দাবি, “বনগাঁ নিয়ে হাইকোর্ট আজ যা রায় দিয়েছে, তা সংবিধানের আইনের সঙ্গে মেলে না। এরপর সবাই তো প্রতিষ্ঠানের বাইরে ভোট করতে চাইবে।”


প্রসঙ্গত, সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় বনগাঁ পুরসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর নতুন করে ভোটাভুটি করানোর নির্দেশ দেন। ১৬জুলাইয়ের ভোট খারিজ করে দিয়েছেন তিনি। হাইকোর্টের নির্দেশ নতুন করে ১২ দিনের মধ্যে ভোট করাতে হবে। এবার ভোট করাতে হবে জেলাশাসকের দফতরে।


এবার ভোটাভুটির ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ না মানা হলে স্বতোঃপ্রণোদিতভাবে আদালত অবমাননার মামলা রুজু করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি। পাশাপাশি পুলিস সুপারকে সব কাউন্সিলরের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগের যা নোটিস দুই দল নিয়েছিল, তা সব বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।


এদিন হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেছেন, "গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। এটা থেকে তৃণমূল শিখুক। "


প্রসঙ্গত, বর্তমানে বনগাঁর সমীকরণ কিছুটা বদলে গিয়েছে। আগে তৃণমূলের কাউন্সিলর ছিলেন ১০ জন, বিজেপির ছিলেন ১২ জন। কিন্তু সম্প্রতি বিজেপির থেকে ৩ জন কাউন্সিলর তৃণমূলে চলে গিয়েছেন। ফলে তৃণমূলের কাউন্সিলর বেড়ে দাঁড়িয়েছেন ১৩ জন, বিজেপির ৯ জন।২২ আসনের পুরসভায় স্বাভাবিকভাবেই এখন পাল্লাভারি তৃণমূলের।


বনগাঁ পুরসভা কার? দীর্ঘ দেড় মাস ধরে চলছে টালবাহানা। ২২ আসনের পুরসভায় ২০টি আসন তৃণমূলের দখলে ছিল। একটি করে ওয়ার্ড সিপিআইএম ও নির্দলের দখলে আছে। গত ৭ জুন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যর প্রতি অনাস্থা জানিয়ে মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হন তৃণমূলেরই ১১ জন কাউন্সিলর। সেই থেকে বনগাঁ পুরসভায় তৃণমূলের ভাঙনের সূত্রপাত। এরপর মামলা গড়ায় আদালতে। গত ১১ জুলাই বনগাঁ পুরসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর আস্থা ভোটের নির্দেশ দেয় আদালত। ১৬ জুলাই হয় ভোট। যা নিয়ে ঘটে ধুন্ধুমারকাণ্ড।


‘জেঠিমা’র ঘনিষ্ঠ হয়ে বাড়িতে প্রবেশ, তারপর প্রেমিকের সঙ্গে ছক! নরেন্দ্রপুরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতিতে ধৃত তরুণী


ভোটভুটিতে বিজেপি কাউন্সিলরদের ভোটকক্ষে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে নিজেদের জয়ী বলে দাবি করে তৃণমূল। এরপর ভোটের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। আদালতে তৃণমূল পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য ও তৃণমূলকে একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার মত প্রতিফলিত হয়নি, যা গণতন্ত্রের পক্ষে ভয়ঙ্কর বলে মত ব্যক্ত করেন বিচারপতি।


দেড় মাস টালবাহানার পর সোমবার আদালতে ফের বনগাঁ মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ১৬ জুলাইয়ের ভোট খারিজ করে দিয়ে নতুন করে ভোট করানোর নির্দেশ দেন।