Nadia: বিএসএফ জোগাচ্ছে সুতো, মহিলারা বুনছেন কাঁথা! স্বনির্ভরতার নতুন কথা নদিয়ায়...
Nadia: প্রান্তিক ভারতীয় মহিলাদের কাজ বলতে কি শুধু বাড়িতে রান্নাবান্না করা, ঘর গোছানো আর সংসার সামলানো? না, সবসময় তা নয়। তাঁদের কাজের পরিধি ও গুরুত্ব ইদানীং অনেক অনেক বেশি। সেই ভাবেই বিষয়টিকে দেখেছে বিএসএফ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিএসএফ আর একটি ভালো উদ্যোগ নিল। এই উদ্যোগ তারা নিল সীমান্ত-লাগোয়া ভারতীয় মহিলাদের স্বনির্ভর করার জন্য। ৩২ নম্বর বিএসএফ গেদে গোবিন্দপুর সীমান্ত এলাকায় প্রচুর ভারতীয় বসবাস করেন। সেখানকার ভারতীয় মহিলাদের দিকে তাকিয়েই এই ভাবনা।
আরও পড়ুন: Gorumara National Park: নতুন বছরে ভ্রমণের নতুন ঠিকানা? জেনে নিন ক্যাম্প আর ওয়াচটাওয়ারের খবর...
প্রান্তিক ভারতীয় মহিলাদের কাজ বলতে কি শুধু বাড়িতে রান্নাবান্না করা, ঘর গোছানো আর সংসার সামলানো? না, সবসময় তা নয়। তাঁদের কাজের পরিধি ও গুরুত্ব ইদানীং অনেক অনেক বেশি। সেই ভাবেই বিষয়টিকে দেখেছে বিএসএফ। সীমান্ত-লাগোয়া অঞ্চলে বসবাসকারী ভারতীয় মহিলাদের সুতো, সেলাইমেশিন ও কাপড় দিচ্ছে তারা। এগুলো তাঁদের দিচ্ছে কাঁথা তৈরির জন্য। কাঁথা তৈরি করে তা বিক্রি করে স্বনির্ভর হবেন সীমান্তের মহিলারা। এই ভাবেই সীমান্তের মহিলাদের স্বনির্ভর করার উদ্যোগ নিল বিএসএফ।
বিএসএফ-এর দেওয়া কাপড় দিয়ে কাঁথা বানিয়ে এই মহিলারা যাতে তা গেদে সীমান্তে কাউন্টার করে বিক্রি করতে পারেন সেই ব্যবস্থাও করে দিয়েছে বিএসএফ। গেদে দিয়ে বৈধ পাসপোর্ট করে বাংলাদেশিরা এসে ভারতীয় মহিলাদের তৈরি এই কাঁথা কিনে নিয়েও যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: Sarna Dharm Code: 'সারনা ধর্ম কোডে'র দাবিতে রেলের পরে এবার সড়ক অবরোধ লালমাটির দেশে!
এতে ভারতীয় মহিলারাও খুশি। তাঁরা বলছেন, বিএসএফকে দেখে আগে তাঁদের ভয় লাগত, এখন তাঁদের ভয়টা কেটে গিয়েছে। এখন বিএসএফ-এর সহযোগিতায় তাঁরা ক্রমশ স্বনির্ভর হচ্ছেন, আগের চেয়ে বেশি সচল হয়েছে তাঁদের সংসার। গোবিন্দপুর পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, বিএসএফ-এর এই উদ্যোগে মহিলারা অনেকটাই ভালো থাকবেন, তাঁদের হাতে টাকা-পয়সাও আসবে।