ওয়েব ডেস্ক: লাটাগুড়িতে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। ফ্লাইওভারের জন্য বৃক্ষ নিধনের বিরুদ্ধে আদালতে যান পরিবেশকর্মীরা। সোমবার পর্যন্ত নতুন করে আর গাছ কাটা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


যানজট কমাতে লাটাগুড়ির বিচাভাঙা রেল ক্রসিংয়ে ৩১ নম্বর জাতীয়। সড়কের ওপর ফ্লাইওভার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ত দফতর। এ জন্য। গরুমারা অভয়ারণ্যে শুরু হয় গাছ কাটা। প্রশাসন আপত্তি না শোনায় কলকাতা হাইকোর্টে যান পরিবেশকর্মীরা। শুক্রবার, মামলাটি শোনেন প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে ও বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী।



আদালতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আইনজীবী বলেন, জাতীয় উদ্যান গরুমারা। কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়া এখানে গাছ কাটা যায় না। এ বার অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, ৪১৭টি গাছ কাটা হবে। পরিবেশ ধ্বংস হবে না। উন্নয়নের জন্য এটা দরকার। এটা পূর্ত দফতরের জমি।


এরপর নথি দেখিয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আইনজীবী দাবি করেন,  বন দফতরের জমিতেই বেআইনিভাবে গাছ কাটা হচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে এলাকায়। দু-পক্ষের কথা শুনে হাইকোর্ট জানায়, সোমবার ফের শুনানি হবে। আপাতত নতুন করে আর গাছ কাটা যাবে না।



হাইকোর্টের নির্দেশ আসার আগে শুক্রবারও পুলিসি পাহারায় গাছ কাটা হয়। ঢুকতে দেওয়া হয়নি সংবাদমাধ্যমকে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৪০টি গাছ কাটা পড়েছে। গাছ কাটার প্রতিবাদে এ দিন লাটাগুড়ির নেওড়ায় বিক্ষোভ দেখান পরিবেশকর্মীরা। পুলিস তাঁদের সরিয়ে দেয়।  



গাছ কাটার জন্য গোরুমারায় জঙ্গল সাফারি বন্ধ। পর্যটকরা না আসায় সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সোমবার হাইকোর্ট কী নির্দেশ দেয় এখন সেদিকেই তাকিয়ে তাঁরা। এই মামলা পরিবেশ আদালতে যাবে কিনা তাও সোমবার জানাবে কলকাতা হাইকোর্ট। (আরও পড়ুন- লক্ষ্মীর ভাঁড়ে সরস্বতী আরাধনা )