নিজস্ব প্রতিবেদন: রায়গঞ্জে পুলিসি হেফাজতে মৃত বিজেপি কর্মী অনুপ কুমার রায়ের দেহ ফের ময়না তদন্তের আদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অনুপের মৃতদেহ বর্তমানে পোঁতা রয়েছে ইটাহারের নন্দনগ্রামে। সেখান থেকে তা তুলে এনে ময়না তদন্ত করা হবে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে। পরপর তিনবার ময়না তদন্ত নজিরবিহীন বলে মনে করছে আইনজীবী মহল।


আরও পড়ুন-নিলামে উঠছে রত্নগিরি জেলায় দাউদ ইব্রাহিমের বিপুল পৈতৃক সম্পত্তি


উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর পুলিসি হেফাজতে মৃত্যু হয় ইটাহারের নন্দনগ্রামের বাসিন্দা ২৩ বছরের অনুপ কুমার রায়ের। নিয়ম অনুযায়ী তখনই একবার ময়নাতদন্ত করা হয়। এদিকে পুলিসের অত্যাচারের মৃত্যু হয়েছে বলে আদালতে যান অনুপের মা ও দাদা। সেই আবেদনের ভিত্তিতে রায়গঞ্জের সিজেএম আদালত মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ফের ময়না তদন্তের আদেশ দেয়। জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রথম ময়না তদন্ত যে চিকিত্সকের তত্ত্বাবধানে হয়েছিল তিনি আর থাকতে পারবেন না।


গত ৫ সেপ্টেম্বর ফের ময়না তদন্ত হয় অনুপের দেহ। তাতেও সন্তুষ্ট হতে পারেনি অনুপের পরিবার। তাঁরা আবেদন করেন কলকাতা হাইকোর্টে। তাঁদের দাবি ছিল প্রচুর ফাঁক ফোকর রয়েছে দ্বিতীয় ময়না তদন্তে। পাশাপাশি এও আবেদন করা হয় অনুপের মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত হোক। সবদিক বিচার করে আজ তৃতীয়বার ময়না তদন্তের আদেশ দিলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। পাশাপাশি ওই ঘটনার ম্যজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তেরও আদেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন-লাদাখের প্রাণঘাতী ঠান্ডায় সেনা মোতায়েন, ভাবছে ভারত!


ইটাহারের বাসিন্দা অনুপ কুমার রায়ের মৃত্যুর পর তাঁর মায়ের অভিযোগ ছিল, বিজেপি কর্মী বলেই লক আপে অনুপকে পিটিয়ে মেরেছে পুলিস। তবে পুলিসের দাবি ছিল ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ছিল অনুপ। আগে থেকেই সে অসুস্থ ছিল। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত রায়গঞ্জ থানার ৫ পুলিস কর্মীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা শুরু হয়েছে।