Covid 19: গঙ্গাসাগর মেলা কি বন্ধ করা যায় না? রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব হাইকোর্টের
বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে হু হু করে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। শুধুমাত্র কলকাতাতেই সংক্রমিত হয়েছেন ৯ হাজারেরও বেশি মানুষ। গঙ্গাসাগর মেলা (Ganga Sagar Mela) কি বন্ধ করা যায় না? রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব করল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আদালতের আশা, জনস্বার্থের কথা মাথা রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামীকাল, বৃহস্পতিবার পরবর্তী শুনানি।
১৪ জানুয়ারি পুণ্যস্নান। পূর্ণ্যার্থীদের ভিড় বাড়ছে গঙ্গাসাগর মেলায়। স্রেফ নবান্নে প্রস্তুতি বৈঠকই নয়, মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে ৩ দিনের সফরে গঙ্গাসাগরে গিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। কপিলমুনির আশ্রমের পুজোর দেওয়ার পর কোভিড বিধি মেনে সকলেই মেলা আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, 'গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলা ঘোষণা করা উচিত। প্রধানমন্ত্রীকে বারবার চিঠি দিয়েও জবাব পাইনি'।
আরও পড়ুন: Municipal Election: রাজ্যের ৪ পুর নিগমের ভোটে নিরাপত্তার দায়িত্ব কার হাতে, জানিয়ে দিল কমিশন
তাহলে? কোভিড পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছেন অভিনন্দন মণ্ডল নামে এক আইনজীবী। এদিন মামলাটি শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি কেসাং ডোমা ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, 'গঙ্গাসাগর মেলার জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা সবিস্তারে আদালতকে জানানো হবে'। ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায়, 'মেলায় কত মানুষ আসতে পারেন'? অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, 'গতবার ৪ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়েছিল। এবছর মানুষ আসতে শুরু করেছেন'। এরপরই গঙ্গসাগর মেলা বন্ধ করা যায় কিনা, সে বিষয়ে আগামীকাল, বৃহস্পতিবার রাজ্যকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: Covid 19: নবান্নের নির্দেশে আসরে খোদ পুলিস সুপার, আক্রান্তদের বাড়ি পৌঁছে দিলেন খাবার
এদিন শুনানিতে গঙ্গসাগর মেলাকে ছোট 'কুম্ভমেলা' বলে উল্লেখ করেন মামলকারীর আইনজীবী সৃজিব চক্রবর্তী। পাল্টা সওয়ালে তিনি বলেন, '২৫ ডিসেম্বর পার্কস্ট্রিটে অনেক মানুষের জমায়েত হয়েছিল। সরকার কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তার উপর এখন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মেলার জন্য অনেক বেশি পুলিসকর্মী মোতায়েন করা হবে। তাঁরা তো আক্রান্ত হতে পারেন। তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করবে কে'? ডক্টরস ফোরামের তরফে অনিরূদ্ধ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, 'সাগরে কোনও মেডিক্যাল কলেজ নেই। একটি ছোট হাসপাতাল আছে। সেখানে চিকিৎসকের সংখ্যা খুবই কম। সরকারি হাসপাতালগুলিতে ৪০০-র বেশি চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত। বেসরকারি হাসপাতালেও একই পরিস্থিতি। সাধুরা মাস্কে বিশ্বাস করেন না। মেলার জন্য আরও দ্রুত হারে সংক্রমণ ছড়াবে। কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হবে'?