নিজস্ব প্রতিবেদন: পূর্ব মেদিনীপুরে ভোট পরবর্তী অশান্তিতে খুনের তদন্তে এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। ওই এফআইআর-এ নাম রয়েছে ১১ তৃণমূল নেতা-কর্মীর। মে মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি ৩ নম্বর ব্লক এলাকার ভাজাচাউলির ঘটনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিধানসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর গত ৩০ মে খুন হন  সিপিএম নেতা জন্মেঞ্জয় দলাই ওরফে চাঁদু। এদিন তাঁকে অপহরণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ করে সিপিএম। সেই ঘটনাতেই এফআইআর দায়ের করল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।


ওই খুনের ঘটনা নিয়ে কাঁথির মারিশদা থানা এলাকার সিপিএম নেতা ঝড়েশ্বর বেরা জানিয়েছেন, চান্দু দলাই খুনের অভিযোগের পরও পুলিস কোনও তদন্ত হচ্ছিল না। তার পরেই আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি করি। আমাদের আবেদন শুনে তদন্ত শুরু করে সিবিআই।


সিপিএম সূত্রে খবর, ৩০ মে শশগাঁ থেকে অপহরণ করা হয়ে চাঁদুকে। খবর রটতেই পুলিসে অভিযোগ করে সিপিএম। পরে সেই রাতেই ভাজাচাউলিতে একটি ফাঁকা মাঠ থেকে জন্মেঞ্জয়ের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে ভর্তি করা হয় এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। এদিকে, জন্মেঞ্জয়কে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করে বিজেপি। কিন্তু পরে জানা যায় সে আসলে সিপিএম নেতা। ফলে এফআইআর-এ জন্মেঞ্জয়কে সিপিএম নেতা হিসেবেই উল্লেখ করা হয়েছে।


আরও পড়ুন-স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য? শীঘ্রই কেন্দ্রের তরফে অ্যাকাউন্টে মিলবে টাকা


এনিয়ে সিপিএম রাজ্য কমিটির সদস্য হিমাংশু দাস বলেন, বিধানসভা ভোটের পর রাজ্যে যে অশান্তি হয়েছিল তা থেকে বাদ ছিল না পূর্ব মেদিনীপুরও। চাঁদু দীর্ঘদিন বাড়িছাড়া ছিল। ভোটের পর সুয়োগ বুঝে ওকে খুন করে ফেলে দিয়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। এনিয়ে থানায় অভিযোগ করেন আমাদের এরিয়া কমিটির সম্পাদক কালীপদ শিট। এখন শুনলাম সিবিআই ওই মামলায় ১১ জনের নাম রয়েছে এফআইআর-এ। ওই ১১ জনকে আমরা চিনি। ওরা তৃণমূলের নেতা-কর্মী। এই তদন্ত যদি চাপা না পড়ে যায় তাহলে আরও অনেকে ধরা পড়বে।


Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)