নিজস্ব প্রতিবেদন: গরু পাচারকারীদের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে অভিযানে নামল সিবিআই। আর এতেই নাম জড়াল এক বিএসএফ কর্তার। পাচার চক্রের শিকড় ছড়িয়ে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ প্রর্যন্ত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার সকাল থেকেই কলকাতার রাজারহাট, সল্টলেক, তপসিয়া, মুর্শিদাবাদ, বহরমপুর, লালগোলা, শিলিগুড়ি-সহ রাজ্যের ১৫ জায়গায় অভিযান চালায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তসংস্থার নজরে এনমুল হক নামে এক পাচারকারী। তার বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে।


আরও পড়ুন-আল কায়দা যোগে ধৃত আবু সুফিয়ানের বাড়িতে এবার মিলল অস্ত্র কারখানার হদিশ


রাজ্যের সীমান্তবর্তি জেলাগুলি দিয়ে বাংলাদেশ গরু পাচার করার অভিযোগ বহুদিনের। এনিয়ে বারেবারেই সরব হয়েছে বিজেপি। উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদহ-সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলার সীমান্তে বসবাসকারী মানুষজন গরু পাচারকারীদের অত্যাচারে নাজেহাল। এবার সেই গরু পাচারের বিরুদ্ধেই অভিযানে নামল সিবিআই।


এদিকে, গরু পাচারের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে সতীশ কুমার নামে বিএসএফের এক আধিকারিকের। বুধবার সল্টলেকের বিজে ব্লকে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তসংস্থা। শেষপর্যন্ত তাঁর বাড়ি সিলও করে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে বিএসএফের ওই আধিকারিক একসময়ে কর্মরত ছিলেন শিলিগুড়িতে। বর্তমানে রয়েছেন ঝাড়খণ্ডে।


আরও পড়ুন- 'অব তক ছাপ্পান্ন' লক্ষ দেশের মোট করোনার সংখ্যা, সুস্থতার হার ৮১ শতাংশ
 
সূত্রের খবর, গত কয়েক মাসে প্রায় হাজার কোটি টাকার গরু পাচার হয়েছে বাংলাদেশে। সিবিআইয়ের লক্ষ্য গোটা চক্রকে ধরা।  বিএসএফ আধিকারিক সতীশ ছাড়াও বিএসএফের একাধিক অফিসার ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে খবর। গরু পাচার নিয়ে NIA ও ED-কেও রিপোর্ট পাঠিয়েছে সিবিআই। টাকার লেনদেনের বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে ইডি। অন্যদিকে, গরু পাচারের সঙ্গে কোনও জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে এনআইএ।


গরু পাচার কাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি জড়াচ্ছে  উত্তরপ্রদেশের নামও। গরু পাচারের টাকার একটা বড় অংশের লেনদেন হতো উত্তপ্রদেশের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বাড়িতে। বিনয় মিশ্র নাম ওই ব্যক্তি এখন সিবিআইয়ের নজরে।


অভিযুক্ত আধিকারিক সতীশ কুমার সম্পর্কে কী জানিয়েছে বিএসএফ!


বিএসএফের কমান্ডান্ট সতীশ কুমারের সল্টলেক, গাজিয়াবাদ ও অন্যান্য জায়গার বাড়িতে তল্লাসি চালিয়েছে সিবিআই। অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারে থাকাকালীন তিনি পশু পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।  ২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর থেকে ২০১৬ সালের ২৪ মে পর্যন্ত তিনি মালদহে বিএসএফের ২০ নম্বর ব্যাটালিয়নে ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ৩৬ নম্বর ব্যাটালিয়নে ছিলেন ২০১৬ সালের ২৪ মে থেকে ২০১৭ সালের ৭ মে পর্যন্ত।