বিক্রম দাস: ঘুর পথে কালো টাকা সাদা করতেন অনুব্রত? CBI চার্জশিটে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। প্রাক্তন ব্যাঙ্ক আধিকারিক সুব্রত বিশ্বাসের মাধ্যমে কালো থেকে সাদা করা হয়েছে প্রায় ছয় কোটি টাকা। এমনইটাই জানানো হয়েছে। গরুপাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের নামে-বেনামে সম্পত্তির খতিয়ান ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে ৷ এবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ প্রোমোটারকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এদিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ বোলপুরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে আসেন প্রোমোটার সৌমেন সরকার ওরফে রানা। অভিযোগ, কেষ্টর পরিচারকের অ্যাকাউন্টে প্রায় ছ-কোটি টাকা দিয়েছিলেন রানা। কারণ জানতে রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Hanskhali: হাঁসখালিতে নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার প্রতিবেশী পৌঢ়


বোলপুরের প্রোমোটার রানা সরকার। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্টে বেশ কিছু টাকা দিয়েছিলেন রানা। বোলপুরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু আদতে তাঁকে পরিচারক হিসাবে কাগজপত্রে দেখানো হয়েছে। অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের জমি কেনা-বেচা দেখত রানা। এই প্রোমোটারের হাত ধরেই কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের কোম্পানি, বেশ কিছু জমি কিনেছিল বোলপুরেরই বাইপাস সংলগ্ন এলাকায়। সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই এ দিন রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।


পাশাপাশি, এদিন সিবিআই অফিসে যান বোলপুরের জমি রেজিস্ট্রি অফিসের এক কর্মী। তিনি অনুব্রত ও তাঁর আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের নামে থাকা জমির নথি জমা দেন বলে সিবিআই সূত্রে খবর। চার্জশিটে সিবিআই জানিয়েছে, ২০১১ সাল থেকে অনুব্রত বাড়িতে পরিচারকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মুন। অনুব্রতর বাড়িতে কাজে যোগ দেওয়ার ১০ বছর সময়ে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন হয়েছে কোটি কোটি টাকা। মুন ছাড়াও অনুব্রতর বাড়ির বিভিন্ন কাজ দেখভাল করতেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েন। তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকেও বিপুল লেনদেনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। 


উল্লেখ্য, আগেই অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের কোম্পানি এএনএম অ্যাগোরোকেম প্রাইভেট লিমিটেডকে নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর, আগামী সোমবারের মধ্যে কোম্পানির সমস্ত নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই কোম্পানির ডিরেকটর দুজন। কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল ও কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ বরণ গাইন। দুজনকেই ১৬০ ধারায় নোটিস ধরানো হয়েছে। নোটিস ধরানো হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের ভাগ্নে রাজা ঘোষকেও। এই রাজা ঘোষ প্রাইমারি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলেন। পাশাপাশি, তিনি ও তাঁর স্ত্রী বোলপুরে একটি রাইস মিলেরও মালিক। এছাড়া বোলপুরের বুকে রাজা ঘোষের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে। তদন্তে বার বার এই রাজা ঘোষের নাম উঠে আসছিল।


আরও পড়ুন, Malda Couple Suicide: ঘনিষ্ঠতার চরম পরিণতি! সাতসকালে যুবক-কিশোরীর জোড়া ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)