Anubrata Mandal: অনুব্রতকে `ঘিরতে` আরও আঁটসাঁট হচ্ছে CBI-এর `ফাঁস`!
সিবিআই-এর শীর্ষ আধিকারিক ছাড়াও ভার্চুয়াল এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তদন্তের সঙ্গে যুক্ত ডিআইজি, এসপি পদ মর্যাদার অফিসাররা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : আরও আঁটসাঁট হচ্ছে অনুব্রতকে ঘিরে CBI-এর 'ফাঁস'। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে নিয়ে সিবিআই-এর তৎপরতা ক্রমশ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, বঙ্গের এই তৃণমূল নেতার সম্পর্কে তদন্ত কোন পথে পরিচালিত হবে, কার্যত তা স্থির করতেই দিল্লির লোধি রোডের সদর দফতরে মঙ্গলবার বিশেষ বৈঠক হয়।
তথ্য অনুসারে সিবিআই-এর শীর্ষ আধিকারিক ছাড়াও ভার্চুয়াল এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তদন্তের সঙ্গে যুক্ত ডিআইজি, এসপি পদ মর্যাদার অফিসাররা। ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা। পাশাপাশি, অনুব্রত মন্ডলের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ছিলেন সিজিএইচএস ও এইমস-এর চিকিৎসকরা । একইসঙ্গে অনুব্রত মন্ডলের মতো হাইপ্রোফাইল সাক্ষীর ক্ষেত্রে কী কী আইনি পদ্ধতি নেওয়া যেতে পারে, তা বোঝার জন্য সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাও এই বৈঠক ছিলেন বলে সূত্রে খবর ।
প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) বিদেশযাত্রা আটকাতে তাঁর পাসপোর্ট, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ইত্যাদি নথি চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পাশাপাশি, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন তদন্তকারীরা। সূত্রে খবর, 'কেষ্টদা' জানিয়েছেন, তাঁর কোনও পাসপোর্ট নেই। তবে তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট হননি তদন্তকারী অফিসাররা। উল্টে তাঁরা তথ্য যাচাইয়ের জন্য আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
উল্লেখ্য, হাসপাতালে ছাড়ার পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)-কে জোড়া নোটিস পাঠায় সিবিআই (CBI)। তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে এসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দুটি মামলাতেই হাজিরা এড়িয়ে যান বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি। আইনজীবীর মারফৎ CBI-কে চিঠি দেন অনুব্রত। চিঠিতে জানান, তিনি দাঁত, মলদ্বার এবং অণ্ডকোষের অসহ্য যন্ত্রণায় ভুগছেন। ২১ মে পর্যন্ত সময় চেয়ে নেন অনুব্রত মন্ডল।