নিজস্ব প্রতিবেদন: এক বছর চার মাস পেরিয়ে গিয়েছে। লালগড়ে  সেই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের অপমৃত্যুর ঘটনায় এবার তদন্ত শুরু করল ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেটিভ অথরিটির পূর্বাঞ্চলীয় দফতর। শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন দফতরের আইজি ডাবলু লংভা। রাজ্য বনদফতর এই তদন্তে কী ভূমিকা পালন করেছে, তাও খতিয়ে দেখেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



ইতিমধ্যেই রাজ্য বন দফতরের তত্কালীন আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। কোন পরিস্থিতিতে এই ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


পরিদর্শনে এসে এনটিসি আধিকারিক জানান,  বাঘের মৃত্যু দেশের এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোন পরিস্থিতিতে বাঘের মৃত্যু হয়েছিল, আদৌ তাকে পিটিয়ে মারা হয়েছিল কিনা, তা তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হবে।


২০১৮ সালের ১৩ এপ্রিল লালগড়ের বাঘঘোরার জঙ্গল থেকে মিলেছিল একটি পূর্ণবয়স্ক রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের দেহ। একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছিল বাঘটির শরীরে। জঙ্গলে শিকার উৎসব চলাকালীন বাঘটিকে মারা হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল।


প্রসঙ্গত, তার আগেই লালগড়ে ভীষণভাবে বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। অদ্ভূতভাবে নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছিল গ্রামবাসীদের গুরু-ছাগল-পোষ্য। এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যাচ্ছিল বলেও দাবি করেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতেই, জঙ্গলে ট্র্যাফ ক্যামেরা বসায় বনদফতর। তাতে ধরা পড়ে, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি।


খিদিরপুরে একই বাড়িতে তিন ভাই-বোনের রহস্যমৃত্যু, উদ্ধার পচাগলা দেহ


এরপর বাঘ ধরতে তত্পর হয়ে ওঠে বনদফতর। পাতা হয় ফাঁদ। কিন্ত বাঘ ধরা পড়ে না। তার কিছুদিন পরই বাঘটির ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ ওঠে, আদিবাসীদের শিকার উত্সবের ‘শিকার’হয়েছে বাঘটি। তার গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল।


বনকর্মীরা জানতে পারে, ওড়িশার শিমলিপাল অভয়ারণ্য থেকে লালগড়ে চলে এসেছিল বাঘটি। তাতেই আরও হতবাক হয়ে যান বন আধিকারিকরা। প্রায় হাজার কিলোমিটার পথ পেরিয়ে লালগড়ের জঙ্গলে আসে বাঘটি।


তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি রাজ্যের তত্কালীন বন আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবেন। এরপর রিপোর্ট জমা দেবেন তিনি। প্রায় দেড় বছরের মাথায় কেন্দ্রীয় দলে তদন্তে বাঘের অপমৃত্যুর কী কারণ উঠে আসে, সেটাই দেখার।