নিজস্ব প্রতিবেদন: ভেতরে লোক থাকলে কী না হয়! মোজাইক করা মেঝে, ঢালাই ছাদের পাকা বাড়ি থাকার পরও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় জ্বলজ্বল করছে নাম। এমনই এক ব্যক্তির সন্ধান মিলল চুঁচুড়ার কোদালিয়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সিংহীবাগান এলাকায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এলাকার মানুষের অভিযোগ ছিল, এলাকায় অনেকের কাঁচা বাড়ি থাকা সত্বেও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর মিলছে না। অথচ পাকা বাড়ির মালিকের নাম চলে আসছে লিস্টে।


আরও পড়ুন-Covid-19: নতুন রূপে ভাইরাস? টিকা নেওয়ার পরও কেরলে আক্রান্ত ৪০ হাজারের বেশি


ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে জি ২৪ ঘণ্টা পৌঁছে যায় সিংহীবাগানের হারাধন গাইনের বাড়িতে। হারধনবাবুর স্ত্রী নমিতা গাইনের নাম রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর প্রাপকের তালিকায়। হারাধনবাবুর ঘরে গিয়ে দেখা যায়, যাঁর স্ত্রীর নাম সরকারি ঘর প্রাপকের তালিকায় তার বাড়িটি পাকা। মেঝে মোজাইক করা।



এরকম এক অভিযোগ নিয়ে হারাধনবাবু বলেন, 'এই পাকা বাড়ি আমার ছেলের'। ওই পাকা বাড়ির পাশেই রয়েছে একটি টালির চালের বাড়ি। হারাধনবাবু দাবি করেন, ওই বাড়িতেই তিনি থাকেন। কিন্তু প্রতিবেশীদের দাবি, ওই ঘরটিও ভাড়া দেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন- Retrospective Tax: অতীতের ভুল শোধরাচ্ছি, 'প্রণব-কর' ছেঁটে শিল্পমহলকে বার্তা Modi-র


এরকম এক ঘটনা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, দিন আনি দিন খাই। সরকার মুখ তুলে তাকায় না। পঞ্চায়েতকে বারবার বলেও কোনও সুরাহা হয়নি। অথচ দেখুন কী অবস্থা।


এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য অজয় মহান্তির বক্তব্য, প্রথম থেকেই এই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার লিস্ট ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে পঞ্চায়েত। এই বিষয়ে আমি বিডিও এবং এসডিওকে অভিযোগ জানিয়েছি।


পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করে পঞ্চায়েত প্রধান শুক্লা চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, বিধানসভা নির্বাচন থাকার জন্য আমরা সেভাবে এ বিষয়ে নজর দিতে পারিনি। তবে এখনও প্রসেসিং বাকি আছে। পাকা বাড়ি থাকা কোন ব্যক্তির সরকারি বাড়ি পাবে না। এর পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য যে পঞ্চায়েত সদস্য এই অভিযোগগুলো করছেন তিনি প্রচারে আসবার জন্য এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)