নিজস্ব প্রতিবেদন : ছেলেধরা গুজবে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল হাওড়ার টিকিয়াপাড়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিস বাহিনী। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেলও। তবুও পরিস্থিতি আয়ত্তে আসেনি। এলাকায় তুমুল উত্তেজনা রয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, পুলওয়ামায় নিহত শহিদদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী


বুধবার ছেলেধরা সন্দেহে এক মহিলাকে আটক করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দাবানলের মত ছড়িয়ে সেই খবর। অন্যান্য এলাকা থেকেও মানুষজন ছুটে যান সেখানে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিসও। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে মহিলাকে উদ্ধার করতে যায় পুলিস। আর তখনই পুলিসের সঙ্গে  বচসা বেধে যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের। অভিযোগ, পুলিসকে লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টি করে এলাকাবাসী। 


আরও পড়ুন, চিকিতসার সময় প্রসূতিকে চড় 'বিরক্ত' চিকিত্সকের! উত্তেজনা হাসপাতালে


উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকায় ঘটনাস্থলে যায় পাঁচটি থানার পুলিস এবং কমব্যাট ফোর্স। প্রথমে লাঠিচার্জ করা হয়। পরে কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটাতে বাধ্য হয় পুলিস। গুজব ও অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়।  কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। রাতে সব থানার ওসিদের নিয়ে বৈঠক করেন জেলা পুলিসের উচ্চপদস্থ কর্তারা। গুজব আটকাতে এবার মাইকিং, লিফলেট বিলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিস।


আরও পড়ুন, সল্টলেক সেক্টর ফাইভে তরুণীকে গণধর্ষণ মামলায় ২০ বছরের কারাদণ্ড


প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন সময় মাথাচাড়া দিচ্ছে ছেলেধরা গুজব। গুজবের জেরে চলছে গণপিটুনি। উত্তেজনা ছড়াচ্ছে এলাকায়। দিন দুয়েক আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে ছেলেধরা সন্দেহে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয়। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে। সেখানে গাছে বেঁধে চলে গণপ্রহার। হাওড়ার জগতবল্লভপুরেও একই ঘটনা ঘটে। প্রায় জনা পাঁচেককে সন্দেহজনকভাবে এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে ছেলেধরা সন্দেহে চলে গণপিটুনি।