সল্টলেক সেক্টর ফাইভে তরুণীকে গণধর্ষণ মামলায় ২০ বছরের কারাদণ্ড

ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৬ সালের  ২৯ মে। পেশায় বার ড্যান্সার ওই নেপালি তরুণী   সেদিন রাতে পার্কস্ট্রিট থেকে সেক্টর ফাইভে এসেছিলেন।

Updated By: Feb 20, 2019, 05:16 PM IST
সল্টলেক সেক্টর ফাইভে তরুণীকে গণধর্ষণ মামলায় ২০ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদন: সল্টলেক সেক্টর ফাইভে নেপালি তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ৪ জনের ২০ বছরের সাজা দিল আদালত।  মোট তিনটি  ধারায় মামলা চলে। তাতে ৩৭৬ ডি অর্থাত্ গণধর্ষণের মামলায় ২০ বছরের জেল, ও ২৫ হাজার টাকার জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের জেলের নির্দেশ দিল বারাসত আদালত। এছাড়া ৩৬৬ ধারায় অপহরণের মামলায় ১০ বছরের জেল ১০ হাজার টাকার জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের জেল ও ৩৭৬ ধর্ষণের মামলায় ১০ বছরের জেল ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের জেলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যেতে পারে দোষীরা।  দোষীপ্রাপ্তদের নাম শুভেন্দু নাগ, সৌরভ দে, সুব্রত দত্ত ও অর্ণব বেরা। তরুণীর কাছে চলে আসা ওই যুবকদেরই একজনের মোবাইলের সূত্র ধরে এই মামলার রায় দেয় আদালত।

আরও পড়ুন:  মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল রাজীব-মামলার শুনানি

ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৬ সালের  ২৯ মে। পেশায় বার ড্যান্সার ওই নেপালি তরুণী   সেদিন রাতে পার্কস্ট্রিট থেকে সেক্টর ফাইভে এসেছিলেন। সেখানে একটি সিনেমা হলে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। সিনেমা হলটি কোথায়, তা জানার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা এক যুবককে জিজ্ঞাসা করেন তিনি।  তখনই ওই যুবক তাঁকে হলটি চিনিয়ে দেওয়ার জন্য এগিয়ে যান। সেই মুহূর্তে পিছন থেকে একটি সুমো গাড়ি  করে গিয়ে ওই চার যুবক  তরুণীকে অপহরণ করে। তারপর একে একে বারবার তাঁকে ধর্ষণ করে।

আরও পড়ুন, বাহিনীর কল্যাণে ৩ মাসের বেতন দান করলেন অভিষেক, লিখলেন মর্মস্পর্শী চিঠি

ধর্ষণের পর তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করে ওই চার জন্য। নেপালি হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘদিন কলকাতায় থাকার সুবাদে বাংলা ভাষা বোঝেন ওই তরুণী। তাঁকে যে খুন করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, তা বুঝতে পেরেই সেদিন রাতে গাড়ি থেকে ঝাঁপ দেন তিনি। কিন্তু নিজের মোবাইলের বদলে ওই চার যুবকেরই এক জনের মোবাইল হাতে নিয়ে লাফ দেন তিনি।

আরও পড়ুন: পুলিসের কাছে ‘পুলিস’ পরিচয় দিয়েই হম্বিতম্বি, নিউটাউনে ধৃত ৫

মোবাইলের সূত্র ধরেই এই মামলার রায় দেয় বারাসত আদালত। জানা গিয়েছে, সেদিন ধর্ষণের পর তরুণীকে খুন করে দেহ মধ্যমগ্রামে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল তারা। 

.