নিজস্ব প্রতিবেদন : কালী মন্দিরে চুরির ঘটনায় বৃহস্পতিবার ধুন্ধুমার বাঁধে বীরভূমের চিনপাইয়ে। সেই চুরির ঘটনায় রাজ্য পুলিসের পাশাপাশি তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিআইডি-ও। এদিন সিআইডি আধিকারকিরা ঘটনাস্থলে যান। সেই দলে ছিলেন ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞও। কালী মন্দির থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। চুরির ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন আধিকারিকরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কালী মন্দিরে চুরি ঘিরে বৃহস্পতিবার কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বীরভূমের সদাইপুর। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। ভাঙচুর চালানো হয় পুলিসের গাড়িতে। আটকে রাখা হয় সদাইপুর থানার ওসিকে। পরে অতিরিক্ত পুলিস সুপার গিয়ে উদ্ধার করেন ওসিকে। চুরির ঘটনায় পরে সদাইপুর থানার ওসিকে ক্লোজ করা হয়েছে।


আরও পড়ুন, বেশি 'রোজগারের' আশায় সাইবার ক্রাইম 'অভ্যাস' করতে যায় ২ দাগী চোর! কাণ্ডকীর্তি দেখে হাঁ পুলিস


বীরভূমের চিনপাইয়ের কালী মন্দির বেশ প্রাচীন ও প্রসিদ্ধ। প্রতিদিন-ই অগুনতি ভক্ত ভিড় জমান মন্দিরে। মঙ্গলবার রাতে কালীপুজো উপলক্ষেও বহু মানুষ এসেছিলেন। বুধবার রাতেও বহু মানুষ আসেন। তারপরই বৃহস্পতিবার সকালে মন্দিরে গিয়ে দেখা যায় প্রতিমার গা থেকে গয়না চুরি গিয়েছে। আদি এই মন্দিরের প্রতিমার গায়ে অনেক সোনার অলঙ্কার ছিল। গতকাল সকালে দেখা যায়, সেই বিপুল পরিমাণ সোনার গয়না সবটাই চুরি গিয়েছে।


এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে মন্দিরে গিয়ে পৌঁছয় পুলিস। পুলিস পৌঁছতেই গ্রামবাসীদের ক্ষোভের আগুন ঘি পড়ে। পুলিসকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে গ্রামবাসী। ভাঙচুর চালানো হয় পুলিসের গাড়িতে। জাতীয় সড়কও অবরোধ করে উত্তেজিত এলাকাবাসী। বিক্ষোভের জেরে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।


আরও পড়ুন, ট্রাকের নীচে 'দাগ'! বালি খুঁড়তেই যা বেরিয়ে এল, চমকে উঠল গ্রামবাসী


চুরির ঘটনায় পুলিসের দিকে নিরাপত্তার গাফলতির অভিযোগের আঙুল তুলেছেন স্থানীয়রা। সদাইপুর থানার ওসিকে প্রথমে ক্লাবঘরে আটকে রাখে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। পরে অতিরিক্ত পুলিস সুপার গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন।