নিজস্ব প্রতিবেদন: পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে ভারতীয় রেল।  উত্তরবঙ্গের জন্য আজ ৪টি ট্রেন ছেড়েছে। শিয়ালদহ থেকে নিউ জলপাইগুড়ির যাওয়ার জন্য বিশেষ একটি ট্রেনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আগামিকালও বেশ কিছু ট্রেন ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে ট্রেন চলছে ধীর গতিতে। জোড়াতাপ্পি দিয়ে মালদহের ভালুকা স্টেশনটিকে কোনওরকমে সচল করার চেষ্টা চলছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুরুতেই দেখে নেওয়া যাক কোন কোন ট্রেন ছাড়বে বৃহস্পতিবার। আপ ট্রেনের ক্ষেত্রে ছাড়ছে- 


১২০৪১ হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি শতাব্দী এক্সপ্রেস
১২৩৪৩ শিয়ালদহ-নিউ জলপাইগুড়ি দার্জিলিং মেল 
১৩১৪৭ শিয়ালদহ- বামনহাট উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস


আর ডাউনে  ছাড়ছে 


১২০৪২ নিউ জলপাইগুড়ি-হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেস
১৩১৪৮ বামনহাট-শিয়ালদহ উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস
১৩১৬০ যোগবাণী- কলকাতা এক্সপ্রেস


বুধবার আপ ও ডাউনে বেশ কিছু ট্রেন ছেড়েছে। আপে ছেড়েছে


 ১২৩৪৫ হাওড়া-গুয়াহাটি সরাইঘাট এক্সপ্রেস
১৩১৬১ কলকাতা-বালুরঘাট তেভাগা এক্সপ্রেস
০৩১৫৯ কলকাতা-যোগবাণী বিশেষ ট্রেন


১৩১৭৫ শিয়ালদহ-শিলচর কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস


১৫৯৫৯ হাওড়া-ডিব্রুগড় কামরূপ এক্সপ্রেস


কামরূপ এক্সপ্রেস অবশ্য একটু ঘুরপথেই যাচ্ছে। 


ডাউন ট্রেন ছেড়েছে 


১২৩৪৪ নিউ জলপাইগুড়ি-শিয়ালদা দার্জিলিং মেল
১২৫১৬ শিলচর-তিরুঅনন্তপুরম এক্সপ্রেস
১৩১৭৬ শিলচর-শিয়ালদহ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস
১২৫১৮ গুয়াহাটি-কলকাতা গরিবরথ এক্সপ্রেস
. ১৫৯৬০ ডিব্রুগড়-হাওড়া কামরূপ এক্সপ্রেস


গরীবরথ ও কামরূপ এক্সপ্রেসও ঘুরে যাচ্ছে 


উত্তরবঙ্গের যাওয়ার পথে ভালুকা স্টেশনটি দশা বেহাল। জোড়া তাপ্পি দিয়ে কাজ চলছে। বেশ কিছু মালগাড়ি চললেও এখনও প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলছে না। আরও দিন দুয়েক সময় লাগবে। এদিন ভালুকা স্টেশন পরিদর্শন করেন ডিআরএম। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ভাবেই বেশ কিছু ট্রেন ঘুরপথে চালাতে হচ্ছে। অন্যদিকে এখনও কৃষ্ণনগর-লালগোলা ও আজিমগঞ্জ নিউ ফারাক্কা স্বাভাবিক নয়। যদিও বুধবার কৃষ্ণনগর- লালগোলা লোকাল এদিন পলাশি পর্যন্ত চালানো হয়েছে। 


শুক্রবার থেকে রাজ্যে ছড়িয়েছে  Citizenship Amendment Act বিরোধী বিক্ষোভ। আর সেই বিক্ষোভের নিশানায় পড়েছে ভারতীয় রেল। হাওড়ার উলুবেড়িয়া স্টেশনে চলেছে দেদার ভাঙচুর। করমণ্ডল এক্সপ্রেস লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছে পাথর। মুর্শিদাবাদের লালগোলা ও বেলডাঙা স্টেশন জ্বালিয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। কৃষ্ণপুরে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৪টি ট্রেন। এছাড়াও একাধিক স্টেশনে ভাঙচুর করেছে দুষ্কৃতীরা। রেলের সম্পত্তি ধ্বংস করলে 'শ্যুট অ্যাট সাইটে'র নির্দেশ দিয়েছেন রেল প্রতিমন্ত্রী সুরেশ অঙ্গড়ি। গণতান্ত্রিক দেশে এমন নির্দেশের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তিনি বলেছেন,''গ্রামে দুটি জায়গায় সামান্য কিছু ঘটনা ঘটেছে। সে কারণে গুলি করে মারার নির্দেশ দিচ্ছেন! এটা গণতান্ত্রিক দেশ।''         


আরও পড়ুন- গ্রামে ২টো স্টেশনে সামান্য কিছু ঘটেছে, গুলি করে মেরে দিতে বলছেন? রণংদেহি মমতা