মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: কাগজে-কলমে গ্রীষ্ম পড়েনি। এখন চৈত্র মাস-- বসন্তকাল। কিন্তু এই বসন্তেই রীতিমতো চোখ রাঙাচ্ছে গরম। এখনই সাধারণ মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে ক্রমশ বাড়তে থাকা তাপপ্রবাহ ও আর্দ্রতা। প্রতিবারই এই লাগামছাড়া গরমে নানা দুর্ঘটনা ঘটে। হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন বহু মানুষ। হিটস্ট্রোকে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। হিটস্ট্রোক ছাড়াও আরও নানা জটিলতা দেখা দেয় এ সময়ে। সামগ্রিক ভাবে বিষয়টির গুরুত্ব রয়েছে। আর সেটাই সম্যক উপলব্ধি করেছে রাজ্য সরকার। তারই ফলশ্রুতিতে হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুতি থাকতে বলেছে স্বাস্থ্যভবন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Covid in Bengal: নববর্ষের মুখেই দুঃসংবাদ! দেশে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ, ভয় দেখাচ্ছে রাজ্যের করোনা-পরিস্থিতি...


কী আর্জি করা হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে?


স্বাস্থ্য ভবন থেকে ইস্যু হওয়া এক আবেদনে জানানো হয়েছে, হাসপাতালগুলিতে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র, ওআরএস রাখতে হবে। মজুত রাখতে হবে কুলিং প্যাড, ইন্ট্রাভেনাস ফ্লুইড। এসবের পাশাপাশি হাসপাতালগুলিকে যথাযথ ভাবে শীতল রাখার ব্যবস্থাও নিতে বলা হয়েছে। এবং হিটস্ট্রোকে কারও মৃত্যু ঘটলে তা তৎক্ষণাৎ সংশ্লিষ্ট মহলে জানাতে হবে।


আরও পড়ুন: Week 1| Daily Cartoon| সোমান্তরাল| স্বাস্থ্য দিবস, বিয়ার ডে; আনলিমিটেড অফার


কিন্তু গরমে কী করবেন, কী করবেন না-- এ নিয়ে বহু মানুষের নানা প্রশ্ন থাকে। কী ভাবে চলবেন তাঁরা। এ নিয়ে বহু জনের বহু প্রশ্ন থাকে। এ বিষয়েও তাই একটু সচেতন থাকা জরুরি। তাতে নিজেই অনেক বিপদ এড়ানো যায়।  


মোটামুটি যা বলা হচ্ছে, তা হল কাজকর্ম যতদূর সম্ভব  সকাল ৮টা  থেকে বেলা ১০টার মধ্যে করে নেওয়াই ভালো। পেশার কারণে যাঁদের রাস্তায় ঘুরে কাজ করতে হয়, তাঁদের একটানা রোদে থাকা উচিত নয়। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। রোদে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা ঠিক নয়। দুপুর ১২টা  থেকে দুপুর ২টো রাস্তায় থাকাটা এড়িয়ে যান। সামান্য অসুস্থতা বোধ হলেও সেটাকে গুরুত্ব দিতে হবে। তেষ্টা না-পেলেও জল খেতে হবে। রোজ কমপক্ষে ৩-৪ লিটার (৮-১০ গ্লাস) জলপান জরুরি। নুন-চিনির জল খেতে পারলে আরও ভালো। মাথা ও কাঁধে ক্রমাগত রোদ লাগা এড়িয়ে চলতে হবে। গরমে কাজের মাঝে বার বার মাথা-মুখ-চোখ-ঘাড়ে জলের ঝাপটা দিতে হবে। হালকা সুতির পোশাক পরুন। ছাতা ও টুপি কিংবা ভিজে গামছা বা তোয়ালে ব্যবহার করুন। গোটা গরম জুড়ে সহজপাচ্য খাবার খান। যেমন-- দই, ঘোল, লস্যি। ভাতের সঙ্গে খান পাতলা ঝোল, ডাল। টাটকা স্যালাড আর ফলও রাখুন মেনুতে। দিনে দু’বেলা ভালো করে ঠান্ডা জলে স্নান করুন। এই সময় হিট ক্র্যাম্পস, হিট এগজশন, হিট সিঙ্কোপ, হিট স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা থাকে। ফলে আগাগোড়া সাবধানে থাকতে হবে। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)