নিজস্ব প্রতিবেদন:  শিক্ষিকার নজরে এসেছিল ব্যাপারটা। স্কুল ব্যাগে কিছু একটা লুকোচ্ছে ন’বছরের ছাত্রী। কাছে যেতেই অপ্রস্তুতে পড়ে যায় সে। ওইটুকু ছোটো শিশুর নিজেকে আড়াল করার আপ্রাণ প্রয়াস দেখে সন্দেহ আরও গাঢ় হয় শিক্ষিকার। চেপে ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন স্কুলের টিচার ইন চার্জ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রামের কোদালিয়ার বছর নয়েকের শিশুটি যা বলল, তাতে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার জোগাড় শিক্ষিকার। শিশুটির স্কুল ব্যাগ থেকে উদ্ধার হল ঘুমের ওষুধ ভর্তি শিশি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: দিঘার সমুদ্রে ভূতুড়ে জিনিস! আতঙ্কিত মত্স্যজীবী, পর্যটক, প্রশাসন


শিশুটি সুভাষগ্রামের কোদালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। বাবা অসীত দাস ও মা মণীষার সঙ্গে কোদালিয়ার কালীতলা এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে থাকে সে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ইদানীং ওই শিশুটির আচরণে অস্বাভাবিকত্ব লক্ষ্য করা গিয়েছিল। সে বিশেষ কারোর সঙ্গে কথা বলত না। এমনকি বেঞ্চে পাশে বসে থাকা বন্ধুর সঙ্গেও কথা বলত না। শিশুটিরই সহপাঠী একবার তার ব্যাগের মধ্যে একটি শিশি দেখতে পায়। বিষয়টি সে টিচার ইন চার্জকে জানায়। তাতেই ফাঁস হয় আসল রহস্য। শিশুটি ব্যাগে করে ঘুমের ওষুধ নিয়ে এসেছিল। শিক্ষিকার দাবি, শিশুটি তাকে জানায়, ‘আমি মরে যেতে চাই। আমাকে কেউ ভালোবাসে না। আমি খুব কষ্টে আছি।’ কিন্তু কেন?


আরও পড়ুন: এই মহিলাকে চমকে দিতে না জানিয়েই বাড়ি ফিরেছিলেন স্বামী, ঘরে ঢুকে দেখলেন...


শিশুটিকে অনেক জিজ্ঞাসা করে শিক্ষিকা জানতে পারেন, শিশুটির মা মণীষা স্কুলে আয়ার কাজ করেন। শিশুটির প্রথম পক্ষের বাবা মৃত্যু হয়েছে কয়েক বছর আগে। তার বর্তমান বাবা অসীত তাকে প্রথমে টিউশন পড়াত। তার থেকেই মায়ের সঙ্গে পরিচয়। পরে তারা বিয়ে করে। অভিযোগ, শিশুটির ওপর নাকি তার বাবা-মা মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে।


শিশুটি জানায়, তার মা সকালে কাজে বেরিয়ে যায়। তারপর সারাদিন বাবার কাছেই থাকত সে।বাড়ির সমস্ত কাজ তাকে দিয়ে করানো হত। বাসন মাজা থেকে রান্না করা। না করলেই মারধোর করা হত। কাজ করলেও সবদিন খাবার জুটত না বলে অভিযোগ।


আরও পড়ুন: বিয়ে বাড়িতে এই যুবকের চোখের চাহনিতেই গলেছিল ১৯ বছরের তরুণী, পরিণতি...


স্কুলের পক্ষ থেকে বিষয়টি সোনারপুর থানায় জানানো হয়। অভিযোগ পেয়ে বাবা ও মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জুভেনাইল জাস্টিস কেয়ার অ্যান্ড প্রোটেকশন অ্যাক্টে মামলা হয়েছে। পুলিস শিশুটিকে উদ্ধার করে হোমে পাঠিয়েছে।