জলাশয়ে মিলল স্কুলপড়ুয়ার দেহ! ত্রিকোণ প্রেমের জেরে খুন?
বিশালকে শেষ দেখা গিয়েছিল এক ছাত্রীসহ আরও তিনজন বন্ধুর সাথে। আর এই তথ্য সামনে আসার পরেই জোরালো হতে থাকে ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব।
তথাগত চক্রবর্তী: ত্রিকোণ প্রেমের জন্য খুন নবম শ্রেণীর ছাত্র? মঙ্গলবার সাতসকালে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার খেয়াদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাইবেরবাদ এলাকায় একটি জলাশয় থেকে উদ্ধার হয় নবম শ্রেণীর এক ছাত্রের দেহ। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। মৃত ছাত্রের নাম বিশাল করন। বিশাল নয়াবাদ হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র বলে জানা গেছে। মৃত ছাত্রের পরিবারের দাবি বিশালের এক বন্ধু সোমবার তার বাড়িতে আসে। তার সাথেই স্কুলে যায় বিশাল। ততক্ষণ পর্যন্ত বিশালের মধ্যে কোন অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি বলেই দাবি করেছে তার পরিবার। অথচ স্কুল ছুটির পরে দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি সে। তারপরেই বিশালকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তার পরিবারের বাকি সদস্যরা। দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর আজ সাতসকালে সাইবেরবাদের জলাশয় থেকে উদ্ধার হয় বিশালের মৃতদেহ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে বিশালকে শেষ দেখা গিয়েছিল এক ছাত্রীসহ আরও তিনজন বন্ধুর সাথে। আর এই তথ্য সামনে আসার পরেই জোরালো হতে থাকে ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব। কিছুদিন আগেই উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় সামনে এসেছিল এমনই একটি ঘটনা। সেক্ষেত্রেও খুন করা হয়েছিল নবম শ্রেণীর ছাত্রকে। ঘটনার দিন থেকে নিখোঁজ থাকা ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয় পরদিন, বাড়ির কাছের একটি ঝোপ থেকে। খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিল তারই এক সহপাঠী। পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পারে মোবাইলের টাকা দেবার নাম করে মৃতের সহপাঠী ডেকে পাঠায় তাকে। এরপরই ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয়েছিল ওই ছাত্রকে। ঘটনার কিছুদিনের মধ্যেই মূল অভিযুক্ত সহ আরও প্রায় ৬-৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। সেক্ষেত্রে পুলিসের দাবি ছিল রীতিমতো ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে ওই নবম শ্রেণীর ছাত্রকে।
আরও পড়ুন, Mahua Moitra: শাড়ি পায়ে ফুটবলে ফ্রি-কিক, মহুয়ার স্কিলে মাত নেটপাড়া
মঙ্গলবারের ঘটনার পর মৃত ছাত্র বিশালের পরিবারের দাবি, বিশাল সাঁতার জানত। ফলে জলে ডুবে মারা যায়নি বিশাল। তাকে খুনই করা হয়েছে। তাছাড়া পরিবারের আরও দাবি সাইবেরবাদের ওই জলাশয়ে ছিল কোমর পরিমাণ জল। তারপরেও কি করে জলে ডুবে মারা যায় বিশাল? সেই প্রশ্নই তুলেছেন বিশালের পরিবারের বাকি সদস্যরা। ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ বিশালের দুই সহপাঠী। তারাও কি বিশালের মতোই মর্মান্তিক পরিণতির শিকার? নাকি বিশালের মৃত্যুর জন্য দায়ী তার এই দুই সহপাঠী? উঠতে শুরু করেছে সেই প্রশ্নও। বিশালের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। বিশালের সঙ্গে শেষ যে ছাত্রী এবং আরও দুই সহপাঠীকে দেখা গেছে তাদের অভিভাবকদের থানায় এনে শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ।