ওয়েব ডেস্ক: কৃষ্ণনগর। মাটিও এখানে কথা বলে। শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় জীবন্ত হয়ে ওঠে মাটির পুতুল। সারা দুনিয়া জুড়ে খ্যাতি কৃষ্ণনগরের মাটির পুতুলের। কিন্তু সেই শিল্পই এখন সঙ্কটে। মাটির  বদলে বাজার জাঁকিয়ে বসছে প্লাস্টার অফ প্যারিসের পুতুল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কথাতেই বলে ঠিক যেন কৃষ্ণ নগরের পুতুলটি ... মানে টা খুব সোজা... সুন্দর, নিখুঁত যে কোনও জিনিস দেখে প্রথমেই মনে আসে কৃষ্ণনগরের পুতুলের কথা...সেই শিল্পই আজ বিপন্ন। 



সময়ের অভাবটাই এখন নিয়ম হয়ে গেছে। কমে গেছে ধৈর্য। আর পাঁচটা জায়গার মতো কৃষ্ণনগরও  সেই ঘড়ির কাটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৌড়চ্ছে। আর সেই দৌড়েই ভেঙে চুরমার হচ্ছে মাটির পুতুলের সাজানো সংসার। 



মাটির পুতুলের নিঁখুত কারিগরিতে আর মন নেই  কৃষ্ণনগরের। তার থেকে এখন অনেক বেশি চাহিদা প্লাস্টার অফ প্যারিসের ছাঁচের পুতুলের।  হাতে করে একটা মাটির পুতুল তৈরি করতে লাগে পাঁচ দিন সময়। আর ছাঁচে দিনে ১০০ পুতুল বানানো যায়। খরচও নামমাত্র। 


চাহিদা নেই, দামও মেলে না। ফলে  নতুন প্রজন্মও  উত্সাহ হারাচ্ছে এই কাজ থেকে...আরও অনেক ঐতিহ্যের মতোই একটু একটু করে হারিয়ে যাচ্ছে মাটির পুতুল... তবুও কিছু কারিগর আজও হাতের জাদুতে কথা ফোটান মাটিতে... আশা করেন ফের একদিন নতুন প্রজন্ম ফিরে তাকাবে এই শিল্পের দিকে। (আরও পড়ুন- সেলফি সূত্রে বেলুড় ও লিলুয়া স্টেশনের মাঝে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা )