Mamata Banerjee: `রায় মানি না`, ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলে বিজেপিকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর...
২০১০ সালের পর সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্তা ডিভিশন বেঞ্চে বলেছে, `২০১০ সালের পর যে ওবিসি সার্টিফিকেটগুলি তৈরি হয়েছে, সেগুলি আইন মেনে তৈরি হয়নি। তবে ২০১০ সালের পরে ওবিসি সংরক্ষণের কারণে যারা চাকরি পেয়েছেন বা নিয়োগপ্রক্রিয়া মধ্যে রয়েছেন, তাদের চাকরি অবশ্য বহাল থাকবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হাইকোর্টের নির্দেশে এবার বাতিল ২০১০ সালের পর তৈরি হওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট! 'এই রায় মানি না, মানব না', বললেন মুথ্যমন্ত্রী। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, 'ওবিসি সংরক্ষণ চলবে। এর জন্য উচ্চতর কোর্টে যেতে হলে,যাব'।
১ জুন সপ্তম তথা শেষ দফায় দমদমে। এদিন তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়ের সমর্থনে পানিহাটি সভা করলেন খোদ দলনেত্রী। মমতা বলেন, 'কোর্টের সবাই খারাপ নয়। আমি কোর্টকে সম্মান করি। কিন্তু যে ব্যক্তি এই রায় দিয়েছে যে, ওবিসি সংরক্ষণ থেকে মুসলিদের বাদ দিতে হবে। আমি তাদের রায় মানি না। মানব না, ওবিসি সংরক্ষণ চলবে। এর জন্য উচ্চতর কোর্টে যেতে হলে,যাব'।
কেন এমন রায় হাইকোর্টের? মুখ্য়মন্ত্রীর অভিযোগ, বারবার বলেছে, 'মুসলিম নাকি জিতে গিয়ে তপশিলিদের সংরক্ষণ তুলে দেবে। হিন্দু-মুসলমানে ভাগাভাগি করে দিচ্ছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। সারা বিশ্ব শুনলে নিন্দা করবে। এটাই আজ কোর্টকে দিয়ে করিয়েছে'। তাঁর মতে, 'কেন মুসলিম রায় তফশিলিতে চাকরি কাটতে যাবে! তাদের সংরক্ষণে ভাগ বসাবে! ওদের এত খারাপ ভাববার কারণ নেই'।
ঘটনাটি ঠিক কী? ১২ বছর পার। রাজ্যে তখন সদ্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। ২০১২ সালে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আদালতে মামলাকারী জানান, ২০১০ সালে একটি অন্তর্বর্তী তালিকা ভিত্তিতে রাজ্যে ‘অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি’ তৈরি করে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার। ওই শ্রেণীর নাম দেওা হয়, ‘ওবিসি-এ। কিন্তু ক্ষমতা আসার পর, চূড়ান্ত রিপোর্ট ছাড়াই একটি তালিকা তৈরি করে তৃণমূল সরকার। এমনকী, আইনও প্রণয়ন করা হয়।
সেই মামলার প্রেক্ষিতে ২০২০ সালে পর সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দিয়েছে হাইকোর্ট। কবে? আজ, বুধবার। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্তা ডিভিশন বেঞ্চে বলেছে, '২০১০ সালের পর যে ওবিসি সার্টিফিকেটগুলি তৈরি হয়েছে, সেগুলি আইন মেনে তৈরি হয়নি। তবে ২০১০ সালের পরে ওবিসি সংরক্ষণের কারণে যারা চাকরি পেয়েছেন বা নিয়োগপ্রক্রিয়া মধ্যে রয়েছেন, তাদের চাকরি অবশ্য বহাল থাকবে।
হাইকোর্টের নির্দেশ, 'এর পরে কারা ওবিসি হবেন তা রাজ্যের আইনসভা অর্থাৎ বিধানসভাকে ঠিক করতে হবে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস ওয়েলফেয়ার কমিশনকে ওবিসিদের তালিকা নির্ধারণ করতে হবে। সেই তালিকা রাজ্যের আইনসভা বা বিধানসভাকে পাঠাতে হবে। যাঁদের নাম বিধানসভা অনুমোদন দেবে পরবর্তী কালে তাঁরাই ওবিসি বলে গণ্য হবেন'।
আরও পড়ুন: Bengal Weather: প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়! রিমেল আছড়ে পড়ার আশঙ্কা বঙ্গে?
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)