নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা ঘোষণা করেছেন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাইরাসের সংক্রমণ শৃঙ্খল ভাঙার জন্য সপ্তাহে ২দিন করে গোটা রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছে নবান্ন। চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ও শনিবার গোটা রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন থাকবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল আক্রান্তের সংখ্যা। ১৫০০, ১৭০০, ১৮৯০- এই হারে এক-একদিনে রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছিল। শেষে রবিবারের বুলেটিন বেরতেই দেখা যায়, রাজ্যে একদিনে আক্রান্তের নিরিখে সব রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে। ২০০০-এর অধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ ঘণ্টায়। শনিবার থেকে রবিবার, ২৪ ঘণ্টায় এরাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হন ২,২৭৮ জন। প্রাণ হারান ৩৬ জন। এখনও পর্যন্ত যা সর্বাধিক। এরপরই আজ সোমবার করোনা রুখতে ফের গোটা রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।


প্রসঙ্গত, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়। দেশের আরও বেশকিছু রাজ্যে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে দাবি করেছে IMA (ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন)। গত কয়েকদিনে দেশে করোনা আক্রান্তের গ্রাফ ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। ৩৪০০০, ৩৬০০০, ৩৯০০০... দেশে করোনা আক্রান্তের নিরিখে প্রতিদিনই ভাঙছিল রেকর্ড। শেষে সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, একদিনে দেশে আক্রান্ত হয়েছেন সর্বাধিক ৪০,৪৩২৫ জন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১১ লাখ।


আইএমএ-র চেয়ারপার্সনের কথায়, দেশে সুস্থতার হার এপ্রিল-মে-এর তুলনায় বাড়লেও আক্রান্তের হারও বেড়েই চলেছে। যা উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তার বিষয়। তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ এলাকায় করোনার সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে। এটাই  প্রমাণ করে যে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, পুনে, মুম্বই, হায়দরাবাদ, কেরলের কিছু কিছু জায়গায়, দিল্লিতে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে আগেই দাবি করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এবার সেই তালিকায় যোগ হল পশ্চিমবঙ্গের নামও। এরাজ্যে করোনার হটস্পট কলকাতা। এরপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলির নাম।


আরও পড়ুন, কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বোর্ড নিয়ে নয়া নির্দেশ হাইকোর্টের