নিজস্ব প্রতিবেদন: এবারের নির্বাচনে বেনজিরভাবে ঘাসফুলের সঙ্গে টেক্কা দিয়েছে পদ্ম। পশ্চিমবঙ্গের যে মাটিতে পদ্মের বীজ কোনওদিনই বোনা যায়নি, সেই মাটিতেও  পদ্ম ফুটতে দেখা গেল। আর এর ফলে পদ্ম-কাঁটায় কোথাও কোথাও বিঁধেছে শাসকদলকেও। তবে, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল এবং বিজেপির তুমুল দ্বৈরথে কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে বাম ও কংগ্রেস। মুর্শিদাবাদ এবং মালদহ ‘কংগ্রেসের দূর্গ’ নামে পরিচিত এই দুই জেলায় কার্যত নিশ্চহ্ন হওয়ার পথে হাত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ১১ জেলা পরিষদে দূরবীনেও ধরা পড়ছে না বাম-বিজেপি-কংগ্রেস


প্রথমে আসা যাক অধীরের দূর্গে। ১৯৯৯ সাল থেকে সাংসদ হওয়া অধীর চৌধুরীর জেলায় ভরাডুবি অবস্থা কংগ্রেসের। সর্বশেষ ফল অনুযায়ী, ৪১৭১টি গ্রাম পঞ্চায়েতে মাত্র ২টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। গতবারে এখানে তারা পেয়েছিল ৩৫০টি আসন। আর এবার ৭৩৬টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে মাত্র ৮টির দখল নিতে পেরেছে কংগ্রেস। জেলা পরিষদেও মাত্র ১টি আসন পেয়েছে তারা। ফলে, অধীর দূর্গকে কার্যত তছনছ করে দিয়েছে তৃণমূল। ২০১৩ সালে  যেখানে জেলা পরিষদে মাত্র একটি আসন পেয়েছিল তৃণমূল, এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪টিতে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভোটে দলকে দায়িত্ব নিয়ে জেতানোর ক্ষমতার নিরিখে বীরভূমের কেষ্ট-র সঙ্গে একই সারিতে বসার যোগ্য শুভেন্দু অধিকারী।


আরও পড়ুন- ফল ঘোষণার পর আবারও পঞ্চায়েত ভোট!


কংগ্রেসের আরও একটি খাসতালুক মালদহেও শক্তি কমেছে হাতের। এবারের ফলাফল অনুযায়ী, মালদহের ৩৮টি জেলা পরিষদের মাত্র ২টি আসন কংগ্রেসের আর তৃণমূল পেয়েছে ২৯টি। এখানে উল্লেখযোগ্যভাবে বিজেপির উত্থান দেখা গিয়েছে। ২০১৩-র শূন্য থেকে ৬টি আসন পেয়েছে গেরুয়া শিবির। দাঁত ফোটাতে পারেনি বামেরা। সার্বিক ফলাফল এতটাই শোচনীয় যে গনি খানের জেলায় তিন নম্বর স্থানে রইল কংগ্রেস। কংগ্রেস জেলা সভাপতি মৌসম বেনজির নূর দলের খারাপ ফলের প্রসঙ্গে বলেন, “তৃণমূল-বিজেপি আঁতাত করে নিশানা করেছে কংগ্রেসকে। এই কারণেই বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে এসেছে।” তবে মৌসম জানিয়েছেন, কংগ্রেসের এই শোচনীয় পরাজয় পর্যালোচনা করা হবে।


আরও পড়ুন- তৃণমূল বনাম তৃণমূলের লড়াইয়ে জয় 'তৃণমূলের'ই


প্রসঙ্গত, মালদহে ২টি এবং মুর্শিদাবাদে একটি ছাড়া রাজ্যে আর কোথাও জেলা পরিষদে আসন পায়নি কংগ্রেস।