ওয়েব ডেস্ক : বন্যায় চড়ছে বিমানভাড়া। মানুষের বিপদের সুযোগ নিয়ে চুটিয়ে মুনাফা লুঠছে বেসরকারি বিমান সংস্থা। বাগডোগরায় আড়াই হাজারের টিকিট বিক্রি হচ্ছে ২৫ হাজার টাকায়। এই ব্যবসাকে অনামবিক বলে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন অধীর চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উত্তরবঙ্গ। তার সঙ্গে সিকিম, ভুটান, পূর্ব বিহার এবং পশ্চিম অসম। বানভাসি পূর্ব ও উত্তর পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা। বায়ুপথে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে তাদের যোগসূত্র এখন একটাই। বাগডোগরা। বাগডোগরা থেকে দিনে ১৯ টি বিমান দিল্লি, কলকাতা ও গুয়াহাটির উদ্দেশে যায়। রেল যোগাযোগ ছিন্ন হওয়ার আগে বাগডোগরা থেকে দিনে গড়ে ১৮০০ যাত্রী ওঠানামা করতেন। গত ৫ দিন বাগডোগরা বিমানবন্দর দিয়ে গড়ে ৩ হাজার যাত্রী চলাচল করেছেন।


আরও পড়ুন- আকাশছোঁয়া বিমানভাড়া, কলকাতা - বাগডোগরার মধ্যে বাড়তি বিমান চালাতে কেন্দ্রকে অনুরোধ মমতার


টিকিটের চাহিদা কেমন এই একটা হিসেবেই পরিষ্কার। এই পরিস্থিতিরই মুনাফা লুঠছে বেসরকারি বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলি। বাগডোগরা থেকে কলকাতার গড় বিমানভাড়া ১৮০০ টাকা, যা সর্বোচ্চ ২৫০০ টাকায় পৌছয়। দুর্যোগের বাজারে বাগডোগরা থেকে কলকাতার টিকিট বিক্রি হচ্ছে গড়ে ২৫ বাজার টাকা। দুর্যোগের বাজারে এক একটি বিমানের টিকিটের দাম প্রায় ২৩ গুণ বাড়িয়ে মুনাফা লুঠছে বিমান সংস্থা।


বাগডোগরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, ভাড়া নিয়ন্ত্রণ করার উপায় তাদের জানা নেই। মানুষের বিপদের সময় বাড়তি আয়ের এই প্রবণতার নিন্দা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বৃহস্পতিবার অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকে কড়া চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যসচিব। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলির এভাবে ভাড়া বাড়ানোকে অমানবিক বলেছেন তিনি। অবিলম্বে ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি। আপত্কালে অতিরিক্ত বিমান চালানোর জন্য ইন্ডিগোকে অনুরোধ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।  ১৯ ও ২০ অগাস্ট অতিরিক্ত বিমান চালানোর কথা ঘোষণা করেছে স্পাইসজেট।