নিজস্ব প্রতিবেদন : সামনেই জন্মদিন। জন্মদিনে খেলনা কেনার জন্য ঘটের মধ্যে একটু একটু করে টাকা জমিয়েছিল ৭ বছরের খুদে। কিন্তু 'করোনা' এসে সব আনন্দ মাটি করে দিয়েছে। চারদিকে এখন শুধুই আতঙ্ক। দুর্দিনে দুর্যোগে কষ্টের মধ্যে দিন কাটছে মানুষের। এমন অবস্থায় জন্মদিনে কি খেলনা কেনা যায়? নিজের মনেই এই প্রশ্ন এসেছিল। ভেবেছিল শিশু মন। আর তারপরই খেলনা নয়, জন্মদিনের জন্য ঘটে জমানো সেই টাকা করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ত্রাণ তহবিলে দান করল ৭ বছরের শিশু।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনা মোকাবিলায় ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ড গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জন্মদিনে খেলনা কেনার জন্য তিল তিল করে জমানো টাকা এই স্টেট ইমারজেন্সি রিলিফ ফান্ডেই দান করল উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার পশ্চিম কামারথোমার বাসিন্দা উৎপল রায়ের ৭ বছরের ছেলে উৎসব রায়। শুক্রবার দুপুরে মা শীলা রায়কে নিয়ে হাবড়া থানায় আসে ছোট্ট উৎসব। তারপর হাবড়া থানার আইসি গৌতম মিত্রের হাতে সে চেক তুলে দেয়।


পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির ছোট ছেলে উৎসব। বাড়ির সবাই, আত্মীয়-স্বজনরা যে যখনই উৎসবকে কিছু খাওয়ার জন্য কোনও টাকা দিতেন, তখনই সে সেই টাকা একটি ঘটে জমিয়ে রাখত। তারপর জমানো সেই টাকা দিয়ে জন্মদিনে নিজের জন্য খেলনা কিনত। এখন টিভিতে করোনা মোকাবিলায় উৎসব যখন দেখে, রাজ্য সরকার সকলের কাছে অর্থ সাহায্য চাইছে। তখনই উৎসব বাড়িতে জানায় যে, তার ঘটে জমানো টাকা দিয়ে খেলনা না কিনে, সেই টাকা সে দান করবে।


একরত্তি ছেলের ইচ্ছের কথা ফেলতে পারেননি বাড়ির বড়রা। শুক্রবার দুপুরে শীলা দেবী প্রথমে ছেলে ও টাকার ঘট নিয়ে হাবড়া থানায় আসেন। ঘটটি আইসি-র হাতে তুলে দিতে চান তাঁরা। কিন্তু আইসি গৌতম চক্রবর্তী তখন জানান যে, চেকে ছাড়া অনুদান নেওয়া যাবে না। এরপরই ঘটে জমানো ১৫০০ টাকার একটি চেক কাটেন শীলা দেবী। সেই চেক আইসি-র হাতে তুলে দেন মা ও ছেলে। ছোট্ট উৎসবের এমন উদ্যোগে খুশি মা শীলা দেবী সহ গোটা পরিবার। শীলা দেবী বলেন, "ছোটবেলা থেকেই উৎসব অসহায় মানুষকে সাহায্য করতে ভালোবাসে। টিভিতে করোনার খবর দেখামাত্র জমানো টাকা দান করার কথা বলে। তাই ওকে নিয়ে থানায় আসি।"


আরও পড়ুন, টোটো করে 'পাচারের' ছক! তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার সরকারি লোগো-লেবেল লাগানো বস্তা বস্তা চাল