`সরকারি ব্যবস্থাপনায় ফ্রি চিকিত্সা-সেফ হোম-টেলি মেডিসিনের সুবিধা পাচ্ছেন রাজ্যের করোনা রোগীরা`
মমতা বলেন, দেখা যাচ্ছে করোনায় মৃত্যুর ক্ষেত্রে কো-মরবিডিটিও একটি বড় বিষয়
নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশের দশ রাজ্য করোনাকে পরাস্ত করতে পারলে করোনামুক্ত হবে দেশ। কোভিড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তবে তাঁর বক্তব্যে যে বিষয়টিতে তিনি জোর দিয়েছেন সেটি হল বাংলা সহ দেশের পাঁচ রাজ্যকে করোনা টেস্টের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রক্ষিতে বাংলায় কোভিড চিকিত্সায় রাজ্যের উদ্যোগের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে করলেন কয়েকটি অনুরোধও।
রাজ্যে বিরোধীদের একাধিক অভিযোগ উড়িয়ে মমতা বলেন-
# গোটা দেশেই করোনা সংক্রমণ উদ্বেগের বিষয়। তবে এনিয়ে প্যানিকড হওয়ার কিছু নেই।
# রাজ্যে সমস্ত সরকারি হাসপাতাল ও রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাপনায় তৈরি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিত্সা হচ্ছে বিনামূল্যে।
আরও পড়ুন-পিতা-মাতার সম্পত্তিতে মহিলারাও কি সমান উত্তরাধিকারী? দেখুন কী বলল সুপ্রিম কোর্ট
# চিকিত্সার খরচের জন্য ৭.৫ লাখ মানুষকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়া হয়েছে। ওই কার্ড থেকে ৫ লাখ পর্যন্ত চিকিত্সার সুযোগ পাওয়া যাবে।
# করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও রাজ্যের ১০০ শতাংশ মানুষকে রেশন দেওয়া হচ্ছে।
# রাজ্য সরকার করোনা রোগীদের জন্য ১০০ সেফ হোম তৈরি করেছে। এখানে ৭০০০ বেড রয়েছে। যারা বাড়িতে আইসোলেশনে থাকতে পারবেন না তারা এইসব সেফ হোমে থাকবেন।
# চব্বিশ ঘণ্টা টেলিমেডিসিন সার্ভিস চালু রেখেছেন ৯৬ চিকিত্সক।
# টেলি সার্ভিসের জন্য পোস্ট গ্রাজুয়েটদেরও কাজে লাগানো হচ্ছে।
# করোনা পজিটিভ রোগীদের জন্য টেলি সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলিং চালু করা হয়েছে।
# একসময় আমরা ডেথ অডিট শুরু করেছিলাম। এখন দেখা যাচ্ছে করোনায় মৃত্যুর ক্ষেত্রে কো-মরবিডিটিও একটি বড় বিষয়। রাজ্যের ৮৯ শতাংশ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে কো-মরবিটিতে।
# মাইল্ড ও উপসর্গহীন রোগীদেরও খুঁটিয়ে নজর রাখা হচ্ছে।
# আমরা কোভিড ওয়ারিয়র ক্লাব তৈরি করেছি। প্রতিটি জেলায় ওই ক্লাবের সদস্য সংখ্যা ১৫০০। এরা কোভিডমুক্ত হয়েছেন।
# সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিত্সকরা রোজ কোভিড হাসপাতালে রোগী দেখছেন।
আরও পড়ুন-'ফার্স্ট বয়' হওয়াই কি লক্ষ্য রাশিয়ার, কতটা কার্যকরী হবে এই ভ্যাকসিন? জেনে নিন
# রাজ্যের আশাকর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ২.৫ কোটি ঘরে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করছেন। সিরিয়াস রেসপিরেটরি ইলনেস আছে এমন ২.৫ লাখ মানুষকে সনাক্ত করে তাদের চিকিত্সা শুরু করা হয়েছে।
# রাজ্যে সেল্ফ হেলফ গ্রুপের ১ কোটি সদস্যকে করোনা সচেতনতায় কাজে লাগানো হয়েছে।
# করোনার এই আবহের মধ্যে রাজ্যে কেন্দ্রের কাছ থেকে জিএসটি কম্পেনশেন হিসেব ৪১৩৫ কোটি টাকা পাবে। এছাড়াও কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যের পাওনা ৫৩০০০ কোটি টাকা।
# ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি গ্রোথ রেট ৭.২১ শতাংশ। সেখানে রাজ্যের গ্রোথ ১৫.০৪ শতাংশ।
# করোনা ভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বলে দেওয়া উচিত কোন ভ্যাক্সিন ব্যবহার করা হবে।
# কেন্দ্রের কাছে আবেদন, রাজ্য সরকারকে আরও নেজাল ক্যানুলা সরবারহ করা হোক।
# কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ আরও ভেন্টিলেটর রাজ্যকে দেওয়া হোক।