নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক যখন চরমে সে সময় বিদেশ থেকে ফিরে অস্ত্রোপচার থেকে রোগী দেখা, সবই করলেন বসিরহাটের এক চিকিত্সক। একথা জানাজানি হয়ে যেতেই সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ চরমে ওঠে। শেষপর্যন্ত ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে যেতে বাধ্য হলেন ওই চিকিত্সক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-COVID-19 সংক্রমণের লক্ষণ নিয়ে এলে কাউকে ফেরাতে পারবে না হাসপাতাল, নির্দেশিকা কেন্দ্রের


বিদেশযাত্রার খবর গোপন করার খবর চাউর হতেই বসিরহাটের ওই চিকিত্সক ও নার্সিং হোমের মালিকের কাছে চলে যায় পুলিস। তাঁকে জেলা হাসপাতালে যেতে বলা হলেও তিনি যেতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। এলাকার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করলে শেষপর্যন্ত হাসপাতালে যান তিনি। সেখানেই তাঁর পরীক্ষা হয়।


এদিকে, শনিবার দুপুরে ওই চিকিত্সকের নার্সিং হোমে তালা দিয়ে রোগীদের হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। পাশাপাশি ওই চিকিত্সককেও ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। ওই চিকিত্সক যাঁদের চিকিত্সা করেছেন তাঁদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। রোগীদের মধ্যে ৪৩ জনকে ইতিমধ্যেই সনাক্ত করা গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন সিএমওএইচ দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বসিরহাটের বিধায়ক দিপেন্দু  বিশ্বাস ও পুরসভার চেয়ারম্যান তপন সরকার।


আরও পড়ুন-Live: ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২৮৩, রাজ্যে আক্রান্ত ৩


পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ১৭ মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দমদম বিমানবন্দরে নামেন ওই চিকিত্সক। সেখানে পরীক্ষা করানোর পর তিনি চলে যান রুবির কাছে তাঁর আবাসনে। পুলিসের দাবি, কলকাতার কয়েকটি নার্সিংহোমে রোগী দেখার পর বৃহস্পতিবার বসিরহাটে ফিরে রোগী দেখেন। এরপর তাঁর বিদেশভ্রমণের খবর চাউর হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ।