নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্স চালক। বহু করোনা রোগীকে দেখেছেন কাছ থেকে। কিন্তু নিজে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর আর মানসিক চাপ নিতে পারলেন না। বাড়িতে ৩ বছরের একটি ছোট্ট বাচ্চা। শুক্রবার নিজের জীবনে দাঁড়ি টেনে দিলেন রিন্টু পাল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে খোলা হোক সেফ হোম, উপাচার্যকে চিঠি SFI-র  


শিলিগুড়ির নকশালবাড়ি(Naxalbari) ব্লকের রাঙাপানি ব্লকের বাসিন্দা রিন্টু পাল(৩১)। বহুদিন ধরেই মেডিক্যাল কলেজের অ্যাম্বুল্যান্স চালাচ্ছেন। পারিবারিক সূত্রে খবর, সম্প্রতি কিছু উপসর্গ থাকায় কোভিড টেস্ট করান। বৃহস্পতিবার সেই টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে গেলেও কোনও বেড পাননি। সম্ভবত তাতেই ভেঙে পড়েন রিন্টু।


মৃতের বাবা রতন পাল জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ফুলবাড়ি(Fulbari) ব্যারেজের কাছে আত্মহত্যার চেষ্টা করে রিন্টু। কিন্তু কোনওক্রমে বেঁচে যায়। তার পর আজ শুক্রবার সকালে নিজের বাড়িতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় সে।


আরও পড়ুন-অক্সিজেন পেতে কোভিড রোগীকে নিয়ে অশ্বত্থ গাছের তলায় বসার পরামর্শ ইউপি পুলিসের


রিন্টু পাল আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় হতবাক গ্রামবাসী। যে মানুষটা দিনরাত এক করে জীবন বাজি রেখে পরিষেবা দিয়ে  চলেছে তার এই পরিণতি! প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে বেড না পেয়ে হয়তো অবসাদে ভুগছিল রিন্টু।  গোটা ঘটনার তদন্ত করছে বাগডোগরা থানার পুলিস।