নিজস্ব প্রতিবেদন: মঙ্গলবার মৃত্যু। তারপর থেকে কোভিড আক্রান্ত মালবাজারের সাউথ কলোনির বাসিন্দা সুমিত্রা দাসের(৭৮) মৃতদেহ হন্যে হয়ে খুঁজছে তার পরিবার। এখনও পর্যন্ত কোনও হদিস নেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাসপাতাল বলে দেহ শ্মশানে পাঠানো হয়েছে। শ্মশান থেকে বলা হয় ওই নামে কোনও মৃতদেহ আসেনি। পুলিস এনিয়ে প্রথমে কোনও অভিযোগ নিতে চায়নি। শেষপর্যন্ত বহু কাঠখড় পোড়ানোর পর বুধবার গভীর রাতে হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিল জলপাইগুড়ির(Jalpaiguri) কোতয়ালি থানা। এরকম মারাত্মক অভিযোগ আনলেন মালবাজারের(Malbazar) বাসিন্দা সুমিত্রা দাসের পরিবারের লোকজন।


আরও পড়ুন-'ভুলবশত', অষ্টম দফার আগে 'ইস্তফা দিন মোদী' মুছে সাফাই Facebook-র


গত ২৬ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়ে জলপাইগুড়ির বিশ্ববাংলা কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হন মালবাজার সাউথ কলোনির বাসিন্দা ৭৮ বছরের সুমিত্রা দাস। মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালের তরফে পরিবারকে জানানো হয়। পরিবারের অভিযোগ, কোভিড হাসপাতালে এসে দেহ দেখতে চাইলে ২৬ হাজার ৫০০ টাকা নগদ দিতে হয়। এরপর তাদের জানিয়ে দেওয়া হয় দেহ প্যাক করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে শাহুডাঙ্গি শ্মশানে।


দেহ দেখতে শ্মশানে ছোটে পরিবার। অভিযোগ, শ্মশানে গিয়ে জানতে পারেন এই নামে কোনও দেহ সৎকারের জন্য আসেনি। বুধবার আবার বিকেলে আবার কোভিড হাসপাতালে এসে খোঁজ খবর করে সদুত্তর না পেয়ে এবার পুলিশের দারস্থ হয় পরিবারের লোকজন। 


এনিয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে তিনি এনিয়ে কিছু বলতে চাননি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখবেন বলে তিনি জানান।


অন্যদিকে, দেহ লোপাট করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন করোনা বিষয়ক উত্তরবঙ্গের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ডাক্তার সুশান্ত রায়। তার দাবি, পরিবার আসতে দেরি করায় দেহ প্যাকেট করা হয়ে গিয়েছিল। একবার দেহ প্যাকেট হবার পর আর খোলা হয় না। কারন তা থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই তাদের দেহ দেখান সম্ভব হয়নি।


আরও পড়ুন-শেষপর্বে বিক্ষিপ্ত অশান্তি; বেলা ১টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৫৬.১৯ শতাংশ, কলকাতায় সবচেয়ে কম


হাসপাতালে টাকা দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কাকে টাকা দিয়েছেন সেটা ওঁকে চিহ্নিত করতে হবে। নইলে সরকারি হাসপাতালের  বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ভাবে দুর্নাম ছড়ানোর অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে। 


এদিকে সুমিত্রা দাসের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানা এনিয়ে অভিযোগ নিতে চায়নি। বরং তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে।


অন্যদিকে, দেহ লোপাটের অভিযোগের ঘটনায় জলপাইগুড়ি জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু সংবাদমাধ্যমে বলেন, যদি এরকম কোনও লিখিত অভিযোগ হয় তাহলে তদন্ত নিশ্চয় হবে।


সুমিত্রা দাসের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, শেষপর্যন্ত হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করেছে জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানার পুলিস। বুধবার রাত বারোটার পর ওই অভিযোগ গ্রহণ করা হয়।