নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলায় অক্সিজেনের সঙ্কট মেটাতে এগিয়ে এল কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। রাজ্য সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে বৃহস্পতিবার থেকে অক্সিজেন ইউনিটের কাজ শুরু করে দিল কেন্দ্রীয় সংস্থা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনা আবহে অক্সিজেনের(Oxygen) সঙ্কট মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল কেন্দ্রীয় ইস্পাত মন্ত্রক। গত ১ মে থেকে ৪ ধাপে  ধাপে মোট ২৪টি কনটেনারে ৪৮০মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন দিল্লিতে পাঠিয়েছিল দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষ। এবার বাঁকুড়া, বীরভূম,পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান এই ৫ জেলায় নিজস্ব অক্সিজেন ইউনিট বানাতে সরকারি হাসপাতালগুলিকে পরিকাঠামোগত ভাবে সাহায্য করছে জাতীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রক। আর অক্সিজেন ইউনিট বানাতে বাকি যা যা করার সেটা করবে ডি আর ডি ও।


আরও পড়ুন- মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে হামলা, লাঠি-বাঁশের আঘাতে চুরমার গাড়ি


রাজ্য সরকার শুধু হাসপাতালের চৌহদ্দির মধ্যে জমি দেবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল, আসানসোল(Asansol) জেলা হাসপাতাল সহ মোট ৩টি অক্সিজেন প্লান্ট হচ্ছে পশ্চিম বর্ধমানে। পূর্ব বর্ধমানে ৪টি, বীরভূমে ৪টি, পুরুলিয়া ৩টি, হুগলি জেলায় ৪টি, বাঁকুড়ায় ৪টি অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি হচ্ছে। 


এক একটি অক্সিজেন প্লান্টের পেছনে প্রায় কম বেশী ১০ লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে বলে জানা যাচ্ছে। খরচের অঙ্কটা যদিও এক এক জায়গায় এক এক রকম হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুই নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের কোভিড  বেডের ওপর নির্ভর করে তরল  অক্সিজেন প্লান্টের উৎপাদন ক্ষমতা ঠিক করা হবে।


আরও পড়ুন-হিংসায় মৃতদের মধ্যে অর্ধেক BJP ও অর্ধেক TMC, ২ লক্ষ টাকা করে দেব: Mamata


দুই নম্বর জাতীয় সড়ক ডিভিশনের প্রজেক্ট ডিরেক্টর স্বপন মল্লিক জানান, যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে সাত দিনের মধ্যে এই প্লান্ট তৈরীর কাজ তারা শেষ করে ফেলবেন, যাতে করে কোনো করোনা রোগী অক্সিজেনের অভাবে মারা না যায়।


বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের নিজস্ব জমি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে দেখান মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নার্সিং হোস্টেলের পেছনে প্রায় দুই কাঠা জমির ওপর তৈরী হবে হাজার টনের এই অক্সিজেন প্লান্ট। সব কিছু ঠিকঠাক চললে দুই একদিনের ভেতরে এই প্লান্ট তৈরীর কাজ শুরু হয়ে যাবে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ধীমান মন্ডল জানান, এই প্লান্ট তৈরি হয়ে গেলে তাদের চাহিদা মিটে যাবে।