নিজস্ব প্রতিবেদন : "পশ্চিমবঙ্গে সবাই কখনও না কখনও গোমূত্র খেয়েছে। আমাদের পুজোপাঠ হয়, পঞ্চমৃত হয়, সেখানে প্রসাদে সেটা দিতেই হয়। সবাই না জেনে কখনও না কখনও খেয়েছেই। এখন নাক সিঁটকাচ্ছে। কিছু লোকের এরকম অভ্যাস আছে, করে এক বলে এক। আর কেউ কাউকে জোর করে গোমূত্র খাওয়াবে না। খাওয়ানোর অধিকারও কারও নেই। এসব নাটকবাজি। বিজেপির বিরোধিতা করার জন্য করা হচছে। সবাই গোমূত্র খায়। পরিস্থিতি এলে আবার খাবে। কাউকে ঘাড় ধরে খাওয়ানো হচছে না। যার বিশ্বাস আছে খাবে। বহু ওষুধ যুগযুগ ধরে চলে আসছে। এটাও এক ধরণের ওষুধ। আমাদের মোরারজি দেশাই তো নিজের মূত্র খেতেন। যাঁরা জানে না কিছু, অর্বাচীন আছে, তাঁরা নতুন জিনিস শুনলে হজম করতে একটু দেরি হয়। যাঁদের কোনও জ্ঞান নেই। তাঁরাই বিজ্ঞানের ঠেকা নিয়েছে। তাঁদের কথা সমাজে কেউ গুরুত্বও দেয় না। ফলে গোমূত্রে কী আছে তা নিয়ে তাঁদের মাথা ঘামানোর দরকার নেই। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ভাঙার দরকার নেই। এরা গোমূত্রও খায় না, গোদুগ্ধও খায় না। যাঁরা গোমাংস খাচ্ছে, সেদিকে তাকান কীভাবে মরছে। এদের মরেও শান্তি নেই। হিন্দু সমাজ গরুকে পুজো করে, পবিত্র আমাদের কাছে, রোগনাশক। তাই এ নিয়ে আমাদের সমাজ বেঁচে আছে।" সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে ঠিক এইভাবে এই ভাষাতেই গো মূত্র খাওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, করোনা ঠেকাতে গোমূত্র খাওয়ার নিদান দিচ্ছেন বিজেপি রাজ্য নেতারা। করোনা সংক্রমণ এড়াতে গোমাতাকে পুজা দেওয়া সহ এদিন গোমূত্র পানের কর্মসুচি পালন করেন রায়গঞ্জ শহরের বিজেপি নেতা-নেত্রীরা। এদিন রায়গঞ্জ শহরের শিলিগুড়ি মোড় লাগোয়া গোশালায় এই ছবি দেখা যা। বিজেপি নেতৃত্ব নিজেরা গোমূত্র পান করেন। পাশাপাশি অন্যদেরকেও করোনার প্রতিষধক হিসাবে গোমূত্র পান করার পরামর্শ দেন। এই প্রসঙ্গে রায়গঞ্জ শহরের প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক শান্তুনু দাসের স্পষ্ট কথা, "গোমূত্র কখনও কোনওভাবেই করোনার প্রতিষেধক নয়। বিজ্ঞানে এমন কোনও প্রমাণ নেই।" উল্লেখ্য, হুগলির ডানকুনিতে  দিল্লি রোডের ধারে গোমূত্র আর গোবরের পসরা সাজিয়ে ব্যবসা ফেঁদে বসেছিলেন শেখ মামুদ আলি। খবর পাওয়ার পরই পুলিস গিয়ে গ্রেফতার করে অভিযুক্ত শেখ মামুদকে। 


আরও পড়ুন, রাজ্যের পাঠানো তালিকা বাতিল, রাজ্য কমিটির জন্য নতুন নাম চাইল BJP কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব


বলে রাখি, করোনা ঠেকাতে দিলীপ ঘোষ এর আগের দিন সাদা কাপড় কেটে বেঁধে রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, করোনা ভাইরাস আকারে বড়। তাই সাদা কাপড় কেটে মাস্ক তৈরি করে পরলেই করোনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এবার রাজ্য বিজেপি নেতাদের গোমূত্র খাওয়ার নিদানের পক্ষে সওয়াল করলেন রাজ্য সভাপতি।