নিজস্ব প্রতিবেদন : ঘরের বিছানায় শুয়ে সন্তান। আর বাড়ির রান্নাঘর থেকে উদ্ধার হল বাবা-মায়ের ঝুলন্ত দেহ। দম্পতির রহস্যমৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে। প্রাথমিক তদন্তের পর অনুমান, ধারের টাকা শোধ করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেছে ওই দম্পতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দুর্গাপুরের নতুনপল্লির বাসিন্দা অসীম পাল। স্ত্রী সুপ্রভা পাল ও এক মেয়েকে নিয়ে সংসার। অসীম পালের বাবা জানিয়েছেন, দুজনের মধ্যে সেভাবে কোনও সমস্যা ছিল না। ভালো বনিবনা ছিল। কিন্তু বিপদ ডেকে আনে চড়া সুদে নেওয়া ধার। কিছুদিন আগেই  তাঁর কাছে ১ লাখ টাকা চান অসীম পাল। বুঝতে পারেন ছেলে বিপদে আছে। টাকাপয়সা নিয়ে টানাটানির মধ্যে রয়েছে। টাকার ব্যবস্থা করছেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।


আরও পড়ুন, প্রথমে গলার নলি কেটে ছেলেকে খুন, তারপর আত্মহত্যা বাবার


কিন্তু তারপরই এদিন ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। এদিন সকালে মেজ ছেলেকে ৫০০ টাকা দিয়ে বড় ছেলে অসীম পালকে দিয়ে আসতে বলেন তিনি। কিন্তু মেজ ছেলে গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। দাদা-বৌদি ঘুমাচ্ছে ভেবে ফিরে আসে সে। এরপর কাজে যাওয়ার আগে তিনি নিজেই যান বাজার করার জন্য ছেলের হাতে টাকা দিয়ে আসতে।


কিন্তু অনেক ডাকাডাকির পরেও কোনও সাড়া না মেলায় সন্দেহ হয় তাঁর। রোজ সকালে ৫টা-৬টার মধ্য়ে ছেলে, পুত্রবধূ ঘুম থেকে উঠে পড়ে বলে জানতেন তিনি। সন্দেহ হতেই দরজায় ঠকঠক করেন। তখনই ঠেলা লেগে দরজা খুলে যায়। দেখা যায়, দরজাটা ভিতর থেকে ভেজানো অবস্থায় ছল। ঘরে ঢুকে অসীমের বাবা দেখেন, বিছানায় নাতনি শুয়ে রয়েছে। কিন্তু ছেলে-বৌমার কোনও খোঁজ নেই।


আরও পড়ুন,'কুয়োর ভিতর ইট-বালি-সিমেন্ট দিয়ে চাপা দিয়েছি স্ত্রীর দেহ!'


এরপরই বাড়ির রান্নাঘর থেকে উদ্ধার হয় দম্পতির ঝুলন্ত দেহ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন অসীম পাল ও সুপ্রভা পাল। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ডায়েরি। ডায়েরির পাতায় পাওনাদারদের হিসেব নিকেশ লেখা রয়েছে। যা দেখে অনুমান, ঋণের টাকা শোধ করতে না পারার কারণেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল দম্পতি। তার জেরেই আত্মহত্যার চরম পথ বেছে নেয় যুগল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।