Minor Girl Trafficking: মধ্যরাতে নাবালিকাকে বিক্রি! দম্পতিকে হাতেনাতে ধরল পুলিস...
Malbazar: মালবাজার থানার সাদা পোশাকের পুলিস গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই এলাকায় হানা দেয়। ছোট গাড়িতে তল্লাশি চালাতে ওই দম্পতিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। গাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হয় নাবালিকাকে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে মালবাজার থানার পুলিস।
অরূপ বসাক: নাবালিকাকে বিক্রি করতে গিয়ে মালবাজার সাদা পোশাকের পুলিসের হাতে ধরা পড়ল এক দম্পতি। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার গভীর রাতে মালবাজার শহরের বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকায়। প্রসঙ্গত জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দম্পতি রোহিত আলম (৩৫) এবং মাহমুদা বেগম (৩০) কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা থেকে একটি ছোট গাড়ি ভাড়া করে এক নাবালিকাকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার রাতে মালবাজার শহরের বাসস্ট্যান্ড চত্বরে এসে পৌঁছায়।
সেই সময় মালবাজার থানার সাদা পোশাকের পুলিস গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই এলাকায় হানা দেয়। ছোট গাড়িতে তল্লাশি চালাতে ওই দম্পতিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। গাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হয় নাবালিকাকে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে মালবাজার থানার পুলিস। মালবাজার থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সাদা পোশাকের পুলিস বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি শুরু করে। সেই সময় ওই এলাকায় অভিযুক্ত দম্পতির গাড়ি আটকে তল্লাশি করতেই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সেই বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার দুপুরে অভিযুক্ত দম্পতিকে জলপাইগুড়ির জেলা দায়রা আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে এই রকম এক ঘটনা সামনে আসে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে নারী পাচার! যৌন পল্লীতে বিক্রি! বাংলা ওয়েব সিরিজ আবার প্রলয়ের প্লট। পাচার হওয়া তারকেশ্বরের নাবালিকাকে বিহার থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে, পাচার চক্রের পর্দাফাঁস করল হুগলি গ্রামীন পুলিস। গ্রেফতার দুই এজেন্ট-সহ চক্রের এক মূল পান্ডা। সাংবাদিক বৈঠক করে জানলেন হুগলি গ্রামীণ পুলিস সুপার কামনাশীষ সেন। ধৃতরা হল মিজানুর মণ্ডল, শ্রীরাম রায়, নন্দ কিশোর কুমার। মিজানুর মন্ডলের বাড়ি, উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোক নগর, শ্রীরাম রায়ের বাড়ি কলকাতার তারতলা এবং নন্দ কিশোর কুমারের বাড়ি বিহারের চম্পারণে।
নাবলিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানতে পারে তার সমাজ মাধ্যমে পরিচয় রাহুল নামে এক যুবকের সঙ্গে। এর পরই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ওই নাবালিকা। তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারকেশ্বর থেকে বিহারে নিয়ে যায় রাহুল। পরে জানা যায়, রাহুলের আসল নাম মিনাজুর মণ্ডল। লোকেশন ট্র্যাক করে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিস। পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই ঘটনার সঙ্গে নারী পাচার চক্রের যোগ পায় পুলিস। তদন্তের গতি বাড়িয়ে অবশেষে নারী পাচার চক্রের একের পর এক সূত্র খুঁজে পায় পুলিস। শুধু মাত্র প্রেমের ফাঁদ নয় কাজের টোপ দিয়ে মহিলা ও নাবালিকাদের এরাজ্য ছাড়াও ভিন রাজ্যের যৌনপল্লীতে পাচার করা হত।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)