নিজস্ব প্রতিবেদন : সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বরকে পছন্দ হয়নি মেয়ের। এই নিয়ে বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীতে অশান্তি লেগেছিল। কিন্তু তার পরিণতি যে এমন মর্মান্তিক হতে পারে তা কল্পনাও করতে পারেনি বাড়ির লোক। বুধবার সকালে ঘরের মধ্যে থেকে গলার নলি কাটা অবস্থায় উদ্ধার হল দম্পতির দেহ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে  পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেতুগ্রামের নবগ্রামের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা সনাতন পান। তাঁর ছোটো ছেলে সন্তোষ পান। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্বন্ধ দেখাশোনার পর নানুরের রুইপুর গ্রামের বাসিন্দা টুসির সঙ্গে ছোট ছেলে সন্তোষের বিয়ে ঠিক করেন সনাতন পান। বিয়েও হয়ে যায় দুজনের। পাত্রের বয়স ৩২ বছর আর কনের বয়স ২২ বছর।  বিয়ের আনন্দে মশগুল ছিল দুই পরিবার। বিয়েও মিটেছিল ভালোমতো। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় গন্ডগোল।


আরও পড়ুন, পুজোর জামা কিনতে টাকা চুরি, ধরা পড়ে অপমানে আত্মঘাতী কিশোর


সন্তোষ পানের মা মা সনকা পান জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই মেয়ের অপছন্দ ছিল পাত্র। তাঁর ছেলে সন্তোষকে কিছুতেই স্বামী হিসেবে মেনে নিতে পারেনি টুসি। আর তা নিয়েই দুজনের মধ্যে নিত্য ঝগড়া হত। অশান্তি চলছিল। অনেক বুঝিয়ে-সুঝিয়েও সমস্যা মেটেনি। এরপরই এদিন বন্ধ ঘরের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় যুগলের নলি কাটা দেহ।


আরও পড়ুন,নৃশংসতার নজির! যুবকের দু-হাতের ১০ আঙুল কেটে নিল মোড়লরা


পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল থেকে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ হয় বাড়ির অন্যদের। অনেক ডাকাডাকিতেও সাড়া না মেলায় তারপর পুলিসকে ডেকে আনা হয়। পুলিস এসে ঘরের দরজা ভেঙে দেহ দুটি উদ্ধার করে। দরজা ভাঙতেই দেখা যায়, বিছানার উপর পড়ে রয়েছে স্ত্রী টুসির ক্ষতবিক্ষত দেহ। আর গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় সন্তোষ পানের ঝুলন্ত দেহ।


আরও পড়ুন, ফ্ল্যাটে রোজ আসত প্রেমিকা! ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই খুন বাগুইআটির ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া?


প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, দাম্পত্য কলহের জেরেই স্ত্রীকে খুন করেছে সন্তোষ। তারপর নিজে আত্মঘাতী হয়েছে। দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।