নিজস্ব প্রতিবেদন : চরম সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেলেছেন। একমাত্র 'পিছুটান' সাড়ে ৩ বছরের শিশুকন্যা। একরত্তি মেয়েকে নিয়েই শুধু চিন্তা। সুইসাইড নোটেও সেই কথা-ই লিখে রেখে গিয়েছেন দম্পতি। উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়ায় ঘর থেকে উদ্ধার হল দম্পতির নিথর দেহ। স্বামী-স্ত্রীর এভাবে আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


আগরপাড়ার পীরতলা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন অমর মণ্ডল। স্ত্রী বৃন্দা মণ্ডল ও সাড়ে ৩ বছরের একরত্তি শিশুকন্যাকে নিয়ে ছোট্ট ছিমছাম সংসার। কিন্তু সেই সুখের সংসারেই ঘুণপোকা ধরেছিল। তাই বাসা বেঁধেছিল অসুখ। রোজের মতো এদিনও সকালে শিশুকন্যাকে প্রাইভেট টিউশন পরাতে আসেন গৃহশিক্ষিকা। ঘরে পা দিয়েই গৃহশিক্ষিকার চোখে পড়ে দম্পতির নিথর দেহ। তিনি দেখেন, খাটের নীচে পড়ে রয়েছে মা বৃন্দা মণ্ডলের দেহ। ওদিকে সিলিংয়ে ফ্যানে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান বাবা অমর মণ্ডলের ঝুলন্ত দেহ।


আরও পড়ুন, 'যুদ্ধ লাগতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিসের মধ্যে!'


ঘরের ভিতর এদৃশ্য দেখে চিত্কার করে ওঠেন ওই গৃহশিক্ষিকা। তাঁর চিত্কারে ছুটে আসেন পাড়া পড়শিরা। স্বামী-স্ত্রীর 'রহস্যমৃত্যু'তে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর দেওয়া হয় খড়দা থানায়। পুলিস এসে জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাগরদত্ত হাসপাতালে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, স্ত্রী বৃন্দাকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন অমর মণ্ডল।


তবে কী কারণে ওই দম্পতি এমন সিদ্ধান্ত নিল? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার  করেছে পুলিস। সুইসাইড নোটে লেখা মাত্র ২টি কথা। লেখা, "আমি ও স্ত্রী চলে গেলাম। আমাদের সন্তানকে দেখ।"