নিজস্ব প্রতিবেদন:  শেষ হইয়াও হল না শেষ.... প্রশাসনের আবেদন মেনে নিহত বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দিল জলপাইগুড়ি জেলা আদালত। অথচ নিহতের পরিবারের আবেদনটি বহাল থাকল! আগামী তিনদিনের মধ্যে সেই আবেদনের শুনানি হবে। আদালতের রায়ে খুশি নন উলেন রায়ের পরিবারের লোকেরা। পরিবার চাইলে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: শুভেন্দু অনুগামী বলে পরিচিত পৌর প্রশাসককে সরাল তৃণমূল! ক্ষোভে, দুঃখে হাইকোর্টে মামলা


সোমবার শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা অভিযানে যোগ দিতে গিয়ে মারা যান বিজেপি কর্মী উলেন রায়। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত নিয়ে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে নিহতের পরিবার। তাঁদের দাবি, তড়িঘড়ি দেহ নিতে চাপ দেওয়াই শুধু নয়, ময়নাতদন্ত হয়ে গিয়েছে জানিয়ে পুলিসের তরফে তাঁদের মুচলেকা লিখতে বলা হয়। এমনকী, মুচলেকায় লিখতে বলা হয় অজ্ঞাতপরিচয়ের দেহ! শেষপর্যন্ত সাদা কাগজে পুলিসের লেখা বয়ানেই সই করতে উলেন রায়ের পরিবারের লোকেরা বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ।


মঙ্গলবার উলেন রায়ের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় জলপাইগুড়ি CJM আদালত। আদালতের তরফে বলা হয়, ৩ চিকিৎসক ও পরিবারের লোকেদের উপস্থিতিতে করতে হবে ময়নাতদন্ত। ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফিও করতে হবে। কিন্তু সেই নির্দেশ আর কার্যকর হয়নি। উল্টে, CJM আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের দ্বারস্থ হয় প্রশাসন। সেই মামলাতেই এদিন যে রায় দিল আদালত, তাতে ময়নাতদন্ত নিয়ে জটিলতা আরও বাড়ল।


আরও পড়ুন: TMCP ও ABVP সমর্থকদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র গোবরডাঙা কলেজ, আহত ৮


কেন? উলেন রায়ের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা আদালত। কিন্তু দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত চেয়ে নিহত এই বিজেপি কর্মীর বোন  CJM আদালতে যে আবেদনটি করেছিলেন, সেটি কিন্তু বহাল থাকছে। জেলা আদালতের নির্দেশ, আগামী তিনদিনের মধ্যে ফের নতুন করে সেই আবেদনের শুনানি শুরু করতে হবে নিম্ন আদালতে অর্থাৎ জলপাইগুড়ি CJM আদালতেই। উলেন রায়ের মৃত্যুর পর ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে চারদিন। আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার ও রবিবার আদালত বন্ধ। সেক্ষেত্রে খুব তাড়াতাড়ি হলেও সোমবারের আগে শুনানির কোনও সম্ভাবনা নেই। শুনানি শুরুর সময়সীমা তিনদিন, ফলে আপাতত বুধবার পর্যন্ত উলেন রায়ের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের বিষয়টি ঝুলে রইল।