প্রসেনজিত্ মালাকার: গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের রেডারে রয়েছেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা রাজীব ভট্টাচার্য। অনুব্রতর বিপুল সম্পত্তি বেনামে তাঁর আত্মীয়সজন থেকে শুরু করে তাঁর অনুগামীদের কাছে রয়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। সেই তালিকায় রয়েছেন বীরভূম আমোদপুর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি রাজীবও। রবিবার এক সভায় বিস্ফোরক দাবি করলেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এই নেতা। নাম না করে তাঁর দাবি, অনুব্রতর ক্যানসার আক্রান্ত স্ত্রীর চিকিত্সার জন্য তিনি দিয়েছিলেন ৬৬ লাখ টাকা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, জেনে নিন সোমবার থেকে কেমন থাকবে আবহাওয়া 


আমোদপুরের এক সভায় আজ রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, বেশ কিছুদিন থেকে আপনারা শুনছেন আমি নাকি গোরু চোর। এনিয়ে দুটো কথা বলতে চাই। আমাকে ৪ বার সিবিআই ডেকেছিল। চারবারই গিয়েছি। আমার কোনও ভয় নেই। আজ পর্যন্ত চুরি করে আমি কিছু করিনি। কারও কাছে ধার করে কারও জন্য কিছু করিনি। রাজনীতিটা আমার নেশা। নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছি। এর জন্য কার গ্রাত্রদাহ হল তাতে আমার কিছু যায় আসে না। একটা মুমূর্ষু রোগী হাসপাতালে মারা যাচ্ছিল। তাকে আমি আর্থিক সাহায্য করেছি। আমার কাছে টাকা ছিল তাই করেছি। অন্যায় করেছি! যদি অন্যায় থাকে বলুন। আপনাদের বলছে চাই, তৃণমূলে ছিলাম। অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে আগামিদিনেও থাকব। সিবিআই আমাকে আবার ডাকবে। আবার যাব। আমাকে ইডি-সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে তৃণমূল থেকে সরানো যাবে না। তৃণমূলে ছিলাম। সেখানেই থাকব।


উল্লেখ্য, বীরভূমে একাধিক রাইস মিলের মালিক রাজীব ভট্টাচার্য। পাশাপাশি আমোদপুর তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। প্রথম থেকেই সিবিআই রাডারে এই রাজীব। তার কারণ ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন তার তরফ থেকে দেওয়া হয়েছিল ৬৬ লক্ষ টাকা। একসময় সামান্য লটারি টিকিট বিক্রেতা ছিলেন এই রাজীব। বিরোধীদের অভিযোগ, অনুব্রত মণ্ডলের হাত মাথায় পড়ার পরেই তার এই বাড়বাড়ন্ত। 


এদিনের সভায় রাজীব বলেন, অনুব্রত মণ্ডলকে অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তার করে রাখার প্রতিবাদে আমাদের আন্দোলনকে তিনগুণ বাড়াতে হবে। আমি নিজেই একজন সিএ  তাই আমার কিছু করতে পারবে না।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)