Jalpaiguri: সবুজ বাঁচিয়ে ঘুঁটে দিয়ে দাহকাজ! ৪০ বছরে ১৬৩৩টি সৎকার
গোবরের ঘুঁটে দিয়ে মৃতদেহ দাহ করে তাক লাগালেন এক সোশ্যাল ওয়ার্কার। দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে প্রায় ১৬৩৩টি দেহ দাহ করিয়েছেন বলে দাবি তাঁর।
প্রদ্যুৎ দাস
জলপাইগুড়ি গোশালা শান্তিঘাট মাড়োয়ারি শ্মশানে এক ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটল। ঘুঁটেতে পোড়ানো হল মৃতদেহ। জলপাইগুড়িতে প্রথম ঘটলেও এ অবশ্য নতুন নয়। যিনি এটি করেছেন, তিনি ইতিমধ্যেই দেড় হাজারের বেশি দেহ এই পদ্ধতিতে দাহ করেছেন।
ইদানীং মৃতদেহ দাহ করতে গেলে ইলেকট্রিক চুল্লিতে যেতে হয়, অথবা কাঠ দিয়ে দাহকাজ করতে হয়। কিন্তু এখানে ঘুঁটের আগুনে দাহকাজ করা হল। এই ভাবনার রূপকার শিলিগুড়ির এক সোশ্যাল ওয়ার্কার শ্যাম মাইয়া। দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে এই পদ্ধতিতে প্রায় ১৬৩৩টি দেহ দাহ করিয়েছেন বলে দাবি শ্যাম মাইয়ার।
শ্যাম বলেন, ইলেকট্রিক চুল্লির মাধ্যমে দেহ দাহ করতে গিয়ে অনেক সময়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সৎকারে যুক্ত লোকজনদের। বিদ্যুৎসংযোগ চলে গেলে থমকে যায় দাহকাজ। পরিবারের লোকজনকে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে হয় শ্মশানে। অনেক জরুরি সময় বেরিয়ে যায়। আবার দূষণেরও একটা ব্যাপার থাকে।
এখনও বিভিন্ন শ্মশান বা লোকালয়ে জ্বালানি কাঠ দিয়ে মৃতদেহ দাহ করা হয়। এতে অনেক কাঠের প্রয়োজন হয়। গোবর ঘুঁটে দিয়ে যদি এ ধরনের কাজ খুব করা সম্ভব হয়, তাতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে শ্যামের ধারণা। জ্বালানির জন্য গাছও কাটা পড়বে না।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)
আরও পড়ুন: কাঁটাতারের বেড়াবন্দি জিরো পয়েন্টের হিরোইন তানজিম! উচ্চ মাধ্যমিকে কৃতিত্বের নজির