নিজস্ব প্রতিবেদন : লোকসভায় পাস হয়ে গিয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (Citizenship Amendment Bill)। আজ রাজ্যসভায় বিল পেশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিল পেশের পর থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের উচ্চকক্ষ। এই পরিস্থিতিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ও এনআরসির (NRC) বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সুর চড়াল বামেরাও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে এদিন তোপ দাগেন সিপিআইএম (CPIM) পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। ক্ষোভ উগরে সেলিম বলেন, "দুটো জনগোষ্ঠী একসঙ্গে থাকতে পারবে না, এটাই তো জিন্না-সাভারকর বলেছিলেন। ধর্মীয় উন্মাদনার ভিত্তিতে দেশভাগ করতে চাইছে। বাংলাদেশ ,পাকিস্তান থেকে এটাই তো আমদানি করা হল। ধর্মের নামে এসব চলছে। জাতিভিত্তিক গনতন্ত্র করতে চাইছে। এটা নিও ফ‍্যাসিস্ট তত্ত্ব। দেশের মধ‍্যে দেশ, ঘরের মধ‍্যে ঘর করতে চাইছে। ভোটবাক্সের স্বার্থে এটা করতে চাইছে।" শুধু মহম্মদ সেলিম নন। তোপ দেগেছেন সিপিআইএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তীও। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, "বিজেপি কর্মীরা এন‌আরসি তালিকা করতে গেলে, আমাদের কমরেডরা পাড়ায় পাড়ায় ঢুকতেই দেবে না। মেরে তাড়াব।"


উল্লেখ্য, এদিন রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন,  নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল(Citizenship Amendment Bill) নিয়ে মিথ্যে রটানো হচ্ছে। এনিয়ে বেশ কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট করে দিতে চাই। এই বিলে দেশের মুসলিমদের কোনও ক্ষতি হবে না। তাঁরা এদেশের নাগরিক ছিলেন এবং থাকবেন। এনিয়ে দেশের একজন মুসলিমেরও শঙ্কার কোনও কারণ নেই।  এনিয়ে যা রটানো হচ্ছে তা ঠিক নয়। মোদী সরকারের নেতৃত্বে এদেশের মুসলিমরা নিরাপদ। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে বিশ্বের সব দেশের মুসলিমদের এদেশে আশ্রয় দিতে হবে। কোথা থেকে দেব! কীভাবে চলবে দেশ!


আরও পড়ুন, 'হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ মতুয়া না,' ধরনায় মমতা বালার অনুপস্থিতিতে বিস্ফোরক জ্যোতিপ্রিয়


বিলটি সম্পর্কে শাহ আরও বলেন, এই বিলটি আনা হয়েছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ধর্মীয় কারণে অত্যাচরিত সংখ্যালঘুদের জন্য। এদের সঙ্গে এদেশের মুসলিমদের কোনও সম্পর্ক নেই। প্রতিবেশী দেশের অমুসলিমরা যারা এখানে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন তাদের কী হবে? কোথায় যাবেন তাঁরা? তাদের জন্যই এই বিল আনা হয়েছে।