ওয়েব ডেস্ক: সিপিএমের বহু নেতা পদ খোয়াচ্ছেন। জোনাল কমিটি থেকে একধাক্কায় ব্রাঞ্চ স্তরে। কাজ করতে হবে সাধারণ পার্টি সদস্যের মত। এমাসের পর থেকেই রাজ্যের সর্বত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে লোকাল এবং জোনাল কমিটি। শুধু থাকবে অঞ্চল কমিটি। তাতে নেতা মাত্র ১২ থেকে ১৫ জন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পদ খোয়াচ্ছেন নেতারা, জোন থেকে একধাক্কায় ব্রাঞ্চে। নেতাদের রাস্তায় নেমে মিছিল করতে হবে, সাঁটতে হবে পোস্টারও, সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম। চৌত্রিশ বছর ক্ষমতায়। সবাই তখন সিপিএম। সবাই নেতা। কমিটি থেকে বাদ গেলেই গোঁসা হয় তাঁদের। শুরু হয়ে যায় লবিবাজি। সেই সংকট কাটাতে তৈরি হল জোনাল কমিটি। একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে। সেখানে যুক্ত হলেন বেশ কিছু নেতা। গাড়ি আর বক্তৃতা। আর মাথার ওপর ছড়ি ঘোরানো। লোকাল কমিটির সংখ্যাও বাড়ানো হল। যাতে আরও বেশি সদস্যকে যুক্ত করা যায়। তৈরি হল একঝাঁক নেতা। 


২০১১ ভোটে ধরাশায়ী সিপিএম। আক্রান্ত সিপিএম কর্মীরা। বদলে গেল গোটা ছবিটা। কর্মীদের ফেলে পিঠটান দিলেন বহু নেতা।  কেউ আবার গোপনে যোগাযোগ রাখতে শুরু করলেন তৃণমূলের সঙ্গে। কেউ বা যোগই দিলেন শাসকদলে। সিপিএমের রিপোর্ট বলছে- 


-পালাবদলের পর সবচেয়ে বিশি অকেজো হয়ে পড়েছে জোনাল কমিটিগুলো
-দল বদলেছেন সবচেয়ে বেশি জোনাল কমিটির সদস্য
-দল বদল করেছেন জনপ্রতিনিধিরা
-বরং শাখাস্তরে তেমন কোনও রদবদল হয়নি
-নবান্ন অভিযান থেকে পাড়ার মিছিল, এখনও মার খান কর্মীরাই


প্লেনামে আলোচনার পর এবার তাই জোনাল ও লোকাল কমিটি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম। তার বদলে অঞ্চল কমিটি। এই মাসের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হবে। 


অঞ্চল কমিটির ফর্মুলা কী?
-পুরনো ৩-৪টে লোকাল কমিটি মিলে একটি অঞ্চল কমিটি
-তার সর্বোচ্চ সংখ্যা হবে ১৫ জনের
-এই কমিটি জেলার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রেখে কাজ করবেন


কী হবে নেতাদের?
-৪ টে লোকাল কমিটি মিলে মোট সদস্য কমপক্ষে ৬০ জন
-সঙ্গে জোনাল কমিটি মানে আরও ২০ জন
-অর্থাত্ ৮০ জন নেতার বদলে মাত্র ১৫ জন
-বাকি ৬৫ জন নেতাকে চাকরি খুইয়ে বসতে হবে শাখা কমিটির সঙ্গে
-বক্তৃতা না, প্রয়োজনে এবার পোস্টারও সাঁটতে হবে