Swami Smaranananda Maharaj: আজই অন্ত্যেষ্টি স্বামী স্মরণানন্দের! ৭ এপ্রিল মহারাজের স্মরণে ভাণ্ডারা...
Ramakrishna Mission President Swami Smaranananda Maharaj Dies: রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ষোড়শ অধ্যক্ষ ছিলেন স্বামী স্মরণানন্দ। স্বামী আত্মস্থানন্দের জীবনাবসানের পরে ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব নেন তিনি। ভক্তদের অকূল শোকসাগরে ভাসিয়ে প্রয়াত তিনি। আজ অন্ত্যেষ্টি, আগামী এপ্রিলে তাঁর স্মরণে ভাণ্ডারা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আজ, বুধবার অন্ত্যেষ্টি, আগামী এপ্রিলে তাঁর স্মরণে ভাণ্ডারা। স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজ। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ষোড়শ অধ্যক্ষ ছিলেন তিনি। প্রয়াত হলেন ৯৫ বছর বয়সে। স্বামী আত্মস্থানন্দের জীবনাবসানের পরে ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি। আগামী ৭ এপ্রিল বেলুড় মঠে তাঁর স্মরণে ভাণ্ডারা অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় লক্ষ ভক্ত সেদিন এতে অংশ নেবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। সেদিন সারা দিন ধরে মহারাজের স্মৃতিতর্পণ করা হবে।
আজ, বুধবার স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে বেলুড় মঠে, মঠের নির্দিষ্ট জায়গায়, গঙ্গার পাড়ে। তার আগে রাত সোয়া আটটা নাগাদ দেহ নিয়ে আসা হবে মঠবাড়িতে। যেখানে স্বামী বিবেকানন্দ থাকতেন। আধ ঘণ্টা দেহ এখানে রাখার পরে সমস্ত মন্দির প্রদক্ষিণ করে তাঁর মরদেহ প্রেসিডেন্ট মহারাজের জন্য নির্দিষ্ট আবাসে নিয়ে আসা হবে। রাত ন'টা নাগাদ অন্ত্যেষ্টির কাজ শুরু হবে। জানান রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ। তিনি আরও জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর দূত হিসেবে আসবেন আলাপন বন্দোপাধ্যায়। রাত আটটায় আসবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এই সমস্ত কাজ মিটে গেলে বিশেষ দিনে অছি পরিষদ ও পরিচালক কমিটির সভা হবে। সেখানেই নতুন অধ্যক্ষের নাম ঠিক করা হবে। স্বামী স্মরণামন্দের শেষকৃত্যের সঙ্গে সঙ্গে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে শ্রীরামকৃষ্ণসংঘে।
২০২২ সালের মার্চ মাসে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ। সে সময় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। বেশ কয়েক দিন পরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
আরও পড়ুন: Shakti and Shiva: কোটি কোটি বছরের পুরনো মিল্কিওয়ের ভিতরে 'শিব' আর 'শক্তি'কে দেখতে পেলেন বিজ্ঞানীরা?
১৯২৯-এ তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুর জেলার আন্দামি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন স্বামী স্মরণানন্দ। ১৯৪৬ সালে স্কুলের পাঠ শেষ করে নাসিকে বাণিজ্য বিষয়ে পড়াশোনা করে ডিপ্লোমা নেন। ১৯৪৯ সালে শ্রীরামকৃষ্ণ ও স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মুম্বই রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ১৯৫২ সালে স্বামী শঙ্করানন্দের কাছে মন্ত্রদীক্ষা নেন। ১৯৫৬ সালে ব্রহ্মচর্য। ১৯৫৮ সালে 'অদ্বৈত আশ্রমে'র কলকাতা শাখায় আসেন। বিবেকানন্দপ্রবর্তিত ইংরেজি পত্রিকা 'প্রবুদ্ধ ভারতে'র কাজের দায়িত্বও সামলেছেন। 'রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠে'র সম্পাদক ছিলেন প্রায় ১৫ বছর। ১৯৮৩ সালে রামকৃষ্ণ মিশনের গভর্নিং বডির সদস্য হন।