‘করোনা আতঙ্ক মাথায় নিয়েও আমফান দুর্গতদের জন্য কঠিন লড়াই করেছে মমতাজি-র সরকার’
মৃতদের নিকট আত্মীয়দের ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। গুরুতর আহতদের ৫০,০০০ টাকা দেওয়া হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আমফানে দুর্গত মানুষদের টাকা রাজ্য সরকারের হাত দিয়ে না দিয়ে সরসারি ক্ষতিগ্রস্থদের দেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এনিয়ে আজ একটি চিঠিও ধরানো হয় মোদীকে। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী কী সিদ্ধান্ত নেন তা পরের বিষয়। তবে করোনার এই আতঙ্কের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমফান দুর্তদের জন্য যে কাজ করছেন তার প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-বোম মেরে উড়িয়ে দেব, খোদ যোগী আদিত্যনাথ পেলেন হুমকি
মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে নিয়ে আকাশপথে আমফানে বিধ্বংস্থ এলাকা ঘুরে দেখে বসিরহাটে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই নরেন্দ্র মোদী বলেন, কোভিডের সঙ্গে লড়াই করতে গেলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আবার আমফানের সঙ্গে লড়াই করতে গেলে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এরকম কঠিন পরিস্থিতিতে মমতাজির নেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গ খুব ভালো লড়াই করছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা সবাই ওঁদের সঙ্গে রয়েছি।
এদিন দুই ২৪ পরগনার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে বসিরহাটের ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন-
# রাজ্যে ও কেন্দ্র দুর্গত মানুষদের পাশে রয়েছে।
# আশু পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ১ হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে।
# মৃতদের নিকট আত্মীয়দের ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। গুরুতর আহতদের ৫০,০০০ টাকা দেওয়া হবে।
# পশ্চিমবঙ্গের ভাই-বোনদের বলছি, এই কঠিন সময়ে কেন্দ্র আপনাদের পাশে রয়েছে।
# সাইক্লোন আমফান কতটা ক্ষতি করেছে তার খতিয়ে দেখতে একটি কেন্দ্রীয় দল আসবে। ত্রাণ ও পুনর্গঠনের দিকে নজর দেওয়া হবে।
# আমরা চাই পশ্চিমবঙ্গ এগিয়ে যাক।
আরও পড়ুন-আকাশপথে আমপানের ধ্বংসলীলা পরিদর্শন করে বসিরহাটে প্রধানমন্ত্রী, সঙ্গে মমতা
# কোভিডের জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আবার আমফানে ক্ষতিগ্রস্থদের সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এরকম এক অবস্থায় মমতাজির নেতৃত্ব রাজ্য সরকার ভালো কাজ করেছে। এই কঠিন সময়ে আমরা ওদের পাশে আছি।