দিঘা থেকে খেজুরি, দুর্যোগের এতদিন পরও জল নামেনি, উত্কন্ঠায় উপকূলের কয়েক হাজার মানুষ
রবিবার শংকরপুরে(Shankarpur জেলাশাসক, বিডিও পরিদর্শনে গেলে তাদের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় বন্যার্তরা
নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর তাণ্ডবে একপ্রকার তছনছ দিঘা, তাজপুর, মন্দারমণি, তমলুক, খেজুরি, নন্দীগ্রাম-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা। দুর্যোগের পর ৫ দিন কেটে গেলেও চরম উৎকন্ঠা ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ওইসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। কারণ মাঠ-ঘাট এখনও জল থইথই। কারণ সমুদ্রের জল যে পরিমাণ প্রবেশ করেছিল এই গ্রামগুলিতে তা একেবারে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে তাদের বাড়িঘর থেকে শুরু করে পুকুর এমনকি মাছের ঝিলগুলো।
আরও পড়ুন- Live: এমন নির্মম প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেখিনি, আলাপন-বদলিতে Mamata
এখনও তাজপুর, জলদা, চাঁদপুর এবং মন্দারমণি(Mandermani) সহ একাধিক বহু গ্রামগুলি থেকে জল পুরোপরি বেরোয়নি। কোথাও এখন হাঁটুজল, কোথাও কোমর জল। এখনও বহু মানুষ রাস্তার উপর ছোট ঝুপড়ি তৈরী করে দিন কাটাচ্ছেন। গ্রামগুলিতে প্রবেশ করলে এখন কেবলই দুর্গন্ধ। কারণ এলাকার বহু ভেড়ির মাছ মরে পচে ভেসে উঠেছে। সেসব পচে গিয়ে দুর্গন্ধে ছেয়ে গিয়েছে এলাকা। ফলে রোগ ছড়ানোর একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- টুইটারকে কেন্দ্রের Digital Rules মানতেই হবে, জানাল দিল্লি হাইকোর্ট
রবিবার শংকরপুরে(Shankarpur) জেলাশাসক, বিডিও পরিদর্শনে গেলে তাদের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় বন্যার্তরা। একদিকে নেই রুজি-রোজগার। বাড়িঘর থেকে কৃষিজমি-সবখানেই এখন জল। এই সমস্ত জলবন্দি মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে ত্রাণ নিয়ে আসছেন বহু স্বেচ্ছসেবী সংস্থা। কলকাতা, হাওড়া সহ পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এলাকার বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই মুহূর্তে ত্রাণ নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তবে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার বহু মানুষদের মূল সমস্যা এখন খাবার। এই মুহূর্তে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের খাবাররই এখন ভরসা তাদের। আজ হাওড়ার দাসনগর এলাকার এক মহিলা ব্যবসায়ী মায়া পাল তাজপুর এলাকার ১০০০ দূর্গত মানুষকে শুকনো খাবার দেন।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)