প্যারাসেলিংয়ে পর্যটকের মৃত্যুর পর মন্দারমণিতে ওয়াটার স্পোর্টস বন্ধ করল প্রশাসন

করিমপুরে পারিবারিক ডেয়ারি ব্যবসা। ব্যবসার কাজেই তরুণ ঘোষ কলকাতা এসেছিলেন শুক্রবার।  পরে বন্ধুদের সঙ্গে মন্দারমণি বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়। সোমবার রেজিনগরের বাড়িতে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু আর ফেরা হল না। 

Updated By: Jun 21, 2015, 11:09 PM IST
প্যারাসেলিংয়ে পর্যটকের মৃত্যুর পর মন্দারমণিতে ওয়াটার স্পোর্টস বন্ধ করল প্রশাসন

ওয়েব ডেস্ক: করিমপুরে পারিবারিক ডেয়ারি ব্যবসা। ব্যবসার কাজেই তরুণ ঘোষ কলকাতা এসেছিলেন শুক্রবার।  পরে বন্ধুদের সঙ্গে মন্দারমণি বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়। সোমবার রেজিনগরের বাড়িতে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু আর ফেরা হল না। 

মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের বাসিন্দা তরুণ ঘোষ। বাড়ির বড় ছেলে তরুণ করিমপুরে পারিবারিক ডেয়ারির ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। এলাকাতেও যথেষ্ট পরিচিতি ছিল তাঁর। শুক্রবার ব্যবসার কাজেই কলকাতায় এসেছিলেন তরুণ। বন্ধুদের সঙ্গে মন্দারমণি বেড়াতে যাওয়ার কথা বাড়িতেও জানিয়েছিলেন। সোমবার বাড়ি ফেরার কথা ছিল । কিন্তু তার আগেই রবিবার পৌছয়  মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর। বড় ছেলের এই অকস্মাত মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না বাবা, মা কেউই। ঘন ঘন জ্ঞান হারাচ্ছেন স্ত্রী। প্যারাগ্লাইডিং সংস্থার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন আত্মীয়রা। 

মাত্র আঠারো উনিশ বছর বয়সেই বিয়ে হয় তরুণ ঘোষের। দুই সন্তানের বয়স দশ ও পাঁচ বছর। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই বাড়িতে ভিড় করেন আত্মীয়রা। শোকে পাথর পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানানোর ভাষা হারিয়েছেন সকলে। 

রাজ্যের পর্যটকদের কাছে ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মন্দারমণি। সমুদ্রের হাতছানিতে সাড়া দিয়ে এলাকার রিসর্টগুলিতে ভিড় জমান পর্যটকরা। কিন্তু এই পর্যটনস্থলের ধারে কাছে নেই কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতাল। এমনকী নেই কোনও পুলিস ফাঁড়িও। রবিবার মন্দারমণিতে প্যারাসেলিং করতে গিয়ে পর্যটকের মৃত্যুর পর উঠে এসেছে এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য।

হাসপাতাল তো দূরঅস্ত। হাতের কাছে নেই কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র। অথচ রমরমিয়ে চলছে মন্দারমণির সমুদ্রতটে হোটেল ব্যবসা। পর্যটকরাও সমুদ্রের টানে ভিড় জমাচ্ছেন। একইসঙ্গে চলছে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ওয়াটার স্পোর্টস ও প্যারাসেলিং। ফলে দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রায়শই।  

মন্দারমণি থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে কাঁথি হাসপাতাল। ২৮ কিলোমিটার দূরে -দীঘা হাসপাতাল। বড়রাংপোয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিকাঠামোর হাল বেশ খারাপ। এছাড়াও রাস্তাঘাটের হালও তথৈবচ। পর্যটনকেন্দ্র হওয়া সত্ত্বেও নেই কোন পুলিস ফাঁড়ি। মন্দামণির সমুদ্র দীঘার থেকেও বেশি উত্তাল। তবুও প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা স্পিডবোট চালায় । চলে প্যারাসেলিংও। এরফলে দুর্ঘটনাও ঘটে প্রায়ই। রবিবার পর্যটকের মৃত্যুর পর মন্দারমণিতে সমস্ত রকম ওয়াটার স্পোর্টস বন্ধ করেছে প্রশাসন। 

.