নিজস্ব প্রতিবেদন: সকাল সাড়ে আটটায় মোবাইলে কথা। এটাই যে শেষবার, তা বুঝতেও পারেননি মিতা মুখোপাধ্যায়। পরের ফোনটা যখন এল, তখন সব শেষ। ছত্তিসগঢ়ের দান্তেওয়াড়ায় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে শহিদ হন আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ান দীনাঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের।                  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বর্ধমান শহরের ঘোষপাড়ার বাড়ি দীনাঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটায় স্ত্রীকে ফোন করেন। ফোনেই বলেন, 'বাজারে যাচ্ছি'। বাজার সেরে স্ত্রীকে ফের ফোন করার কথা দিয়েছিলেন দীনাঙ্কর। কিন্তু সেই কথা রাখতে পারলেন না। স্বামীর কণ্ঠ শোনার অপেক্ষায় উত্কণ্ঠায় ছিলেন মিতা মুখোপাধ্যায়। বিকেলে ফোন আসে, তবে প্রিয়জনের মৃত্যু সংবাদের। বাজার করে ফেরার সময়ে মাওবাদীদের পাতা ল্যান্ডমাইন ফেটে মৃত্যু হয় দীনাঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের।


২০১১ সালে বায়ুসেনার চাকরিতে যোগ দেন দীনাঙ্কর মুখোপাধ্যায়। ২০১২ সালে যোগ আধা সামরিক বাহিনীতে। দুর্গাপুজোয় কয়েকদিন বর্ধমানে পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে দেন। দান্তেওয়াড়ায় আধা সামরিক বাহিনীর হেঁসেলের দায়িত্বে ছিলেন দীনাঙ্করবাবু। তাঁর মৃত্যু সংবাদে গোটা এলাকায় শোকের আবহ। 


এদিন দান্তেওয়াড়ায় বাচেলিতে বাজার থেকে জিনিসপত্র কিনে ফিরছিলেন জওয়ানরা। বাচেলিতে আসতেই সেটির ওপরে হামলা চালানো হয়। বিস্ফোরণে নিহত হন বাসের চালক, কনডাক্টর ও খালাসি-সহ পাঁচজন।


উল্লেখ্য, অক্টোবর মাসেই দান্তেওয়াড়া মাওবাদী হামলায় নিহত হন দুরদর্শনের এক ক্যামেরাম্যান ও ২ পুলিসকর্মী। আহত হন অন্য ২ পুলিসকর্মী। পুলিসের গুলিতে ২ মাওবাদীর মৃত্যু হয় বলেও দাবি করা হয়। ঘটনার দিন টহলে বিরয়েছিলেন জওয়ানরা। তাদের সঙ্গে ছিল দুরদর্শনের ৩ কর্মী। মাওবাদীূদের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হন সাব ইনস্পেক্টর রুদ্ধপ্রতাপ, কনস্টেবল মাঙ্গুলাল ও দুরদর্শনের ক্যামেরাম্যান অচ্যুতানন্দর শাহু। 


আরও পড়ুন- ৯৬ সালে নরসিমার ছাঁচেই ১৯-এ মোদী হঠানোর কৌশল চন্দ্রবাবুর?