বাড়ি ফিরতেই বেঁচে উঠল হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া `মৃত`! খেল জলও
মৃতার ছেলে নিতাই দাস জানিয়েছেন, বাড়ি ফিরে দেখা যায় মায়ের শ্বাস চলছে। এমনকি আনন্দময়ী দাস জলও খান!
নিজস্ব প্রতিবেদন : বৃদ্ধাকে 'মৃত' বলে ফিরিয়ে দিয়েছিল হাসপাতাল থেকে। কিন্তু বাড়ি ফিরতেই বেঁচে উঠল সেই 'মৃত' বৃদ্ধা! দেখা গেল রীতিমতো শ্বাস চলছে আনন্দময়ী দাস নামে ৭৮ বছরের ওই বৃদ্ধার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় বীরভূমের বোলপুরে। ফের বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই বৃদ্ধাকে। পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই গাফিলতির অভিযোগে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় হাসপাতাল চত্বরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বোলপুর থানার পুলিস। বেশ খানিকক্ষণ পর নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।
জানা গিয়েছে, বোলপুরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কুমোরপুকুর পাড়ার বাসিন্দা আনন্দময়ী দাস। বার্ধক্যজনিত কারণে এদিন তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের চিকিৎসক পঙ্কজ বিশ্বাস বৃদ্ধাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মৃত বলে তাঁদের জানিয়ে দেন। বৃদ্ধাকে আর হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়নি। দেহ নিয়ে বাড়ি ফিরে যান পরিজনরা।
মৃতার ছেলে নিতাই দাস জানিয়েছেন, বাড়ি ফিরে দেখা যায় মায়ের শ্বাস চলছে। এমনকি আনন্দময়ী দাস জলও খান বলে দাবি করেছেন পরিবারের লোকেরা। এরপরই তড়িঘড়ি ফের তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে সেখানে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান মৃতার পরিবারের লোকজনেরা। তাঁদের অভিযোগ, প্রথমবার হাসপাতালে নিয়ে আসার পর সঠিক চিকিৎসা হয়নি। কোনও চিকিৎসা না করিয়েই ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের। সেইসময় সঠিক চিকিৎসা হলে আনন্দময়ী দাস প্রাণে বেঁচে যেতেন বলে দাবি করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন, বাইরে থেকে আটকে দিয়ে ঘরে আগুন! চাকুলিয়ায় অগ্নিদগ্ধ গোটা পরিবার
আরও পড়ুন, 'জল খাচ্ছে তুলসি গাছ', ভাইরাল ভিডিয়োর পুরোটাই গুজব
এদিকে বিক্ষোভের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে বোলপুর থানার পুলিস। যদিও অভিযুক্ত চিকিৎসক পঙ্কজ বিশ্বাস সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন,"নার্ভ পাচ্ছিলাম না, আমার সিনিয়ররাও নার্ভ পাচ্ছিলেন না। তাই ওদের জানিয়ে দিই। ওরা দেহ নিয়ে চলে যায়। এবার এসে বলছে বাড়িতে জল খেয়েছে। এখন দেখলাম রোগীর মৃত্যু হয়েছে।"