নিজস্ব প্রতিবেদন : দিল্লি আইআইটিতে পাঠরত বাঙালি ছাত্র নাড়ুগোপাল মালোর আত্মহত্যার নেপথ্যে রয়েছে যৌন নির্যাতন। যৌন হেনস্থার কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন হুগলীর ছাত্র। প্রাথমিক তদন্তের পর নিশ্চিত পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হুগলীর ত্রিবেণীর বাসুদেবপুরের বাসিন্দা ছিলেন নারুগোপাল। ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী। বর্তমানে দিল্লি আইআইটি-তে স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্র ছিলেন তিনি। কিন্তু, ১০ এপ্রিল রাতে হঠাত্ই ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন নারুগোপাল। তবে সেযাত্রায় হাসপাতালে চিকিত্সার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। হাসপাতাল থেকে নারুগোপালকে প্রথমে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর দাদা। তারপর বৃহস্পতিবার নারুগোপালকে ফের হস্টেলে রেখে যান তাঁর দাদা। পরদিন শুক্রবার সকালেই হস্টেলের ঘর থেকে নারুগোপালের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিস।


আরও পড়ুন, 'শারীরিক চাহিদা' মেটাতে স্বামীকে ছেড়ে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে সংসার গৃহবধূর


হস্টেলের ঘর থেকেই একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, সুইসাইড নোটেই যৌন নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেছেন নারুগোপাল। তিনি লিখেছেন, ছোটবেলা থেকেই যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয় তাঁকে। এই নিয়ে সম্প্রতি মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন। যদিও আত্মঘাতী ছাত্রের বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, তাঁর যৌন হেনস্থার কথা বিন্দুবিসর্গ কিছু জানতেন না তাঁরা।


নারুগোপালের পরিবার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদও ফোনে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি-ই ফোন করেছিলেন বাড়িতে। বাড়ির সবার খোঁজখবর নেন নারুগোপাল। খুব স্বাভাবিকভাবেই কথা বলেন। তাঁর কথা শুনে তখন ঘুণাক্ষরেও বোঝা যায়নি যে এরকম কোনও চরম সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন নারুগোপাল। সকালে হস্টেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নারুগোপালের আত্মহত্যার খবর পান তাঁরা।


আরও পড়ুন, সরকারি ওষুধ 'পাচার' সন্দেহে শ্যামবাজারে 'দাদাগিরি' তৃণমূল কাউন্সিলরের


পুলিস জানিয়েছে, সুইসাইড নোটে নির্দিষ্ট কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে তাঁদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন নারুগোপাল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই পস্কো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মেধাবী ছাত্রের অকাল মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা বাসুদেবপুর।